ম্যাচের শুরুতেই যে ধাক্কা খেল তা আর কাটিয়ে উঠতে পারলো না টটেনহ্যাম হটস্পার। শেষ দিকে দিভোক ওরিগির গোলে আরও পিছিয়ে পড়লো তারা। দুই অর্ধের দুই গোলে ১৪ বছর পর চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ের উচ্ছ্বাসে মাতলো লিভারপুল।
Published : 02 Jun 2019, 02:57 AM
মাদ্রিদের ওয়ান্দা মেত্রোপলিতানোয় শনিবার শিরোপা লড়াইয়ে ২-০ গোলে জিতেছে ইয়ুর্গেন ক্লপের দল। দ্বিতীয় মিনিটে মোহামেদ সালাহর পেনাল্টি গোলে এগিয়ে গিয়েছিল অল রেডরা।
প্রতিযোগিতার ইতিহাসে সর্বাধিক শিরোপা জয়ের তালিকায় লিভারপুলের উপর রয়েছে রিয়াল মাদ্রিদ (১৩) ও এসি মিলান (৭)।
গতবারের ফাইনালে শুরুর দিকে চোট পেয়ে অশ্রুসিক্ত চোখে মাঠ ছেড়েছিলেন সালাহ। এক বছর বাদে স্বপ্ন পূরণের ম্যাচে তার গোলেই লিভারপুলের শুরুটা হয় অসাধারণ। ঘড়িতে সেকেন্ডের কাটা ২৬ ছুঁইছুঁই, ম্যাচের প্রথম আক্রমণে ডি-বক্সে ঢুকে পড়া সাদিও মানের শটে বল মিডফিল্ডার মুসা সিসোকোর বুকে লেগে স্পর্শ করে হাত। রেফারি বাজান পেনাল্টির বাঁশি। নিখুঁত স্পট কিকে লিভারপুলকে এগিয়ে দেন সালাহ। আসরে এটা তার পঞ্চম গোল।
শুরুর ধাক্কা সামলে বল দখলে রেখে আক্রমণে মনোযোগী হয় টটেনহ্যাম। তবে বিরতির আগে একটি শটও লক্ষ্যে রাখতে পারেনি প্রথমবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ফাইনালে ওঠা দলটি। উল্টো ৩৮তম মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ হতো পারতো। তবে অ্যান্ড্রু রবার্টসনের জোরালো শটে শেষ মুহূর্তে হাত ছুঁইয়ে বল ক্রসবারের উপর দিয়ে পাঠিয়ে দেন গোলরক্ষক উগো লরিস।
তিন মিনিট পর ডি-বক্সের বাঁ দিক থেকে ক্রিস্তিয়ান এরিকসেনের শট ঝাঁপিয়ে দারুণ দক্ষতায় ঠেকিয়ে ব্যবধান ধরে রাখেন আলিসন।
৮৭তম মিনিটে বলতে গেলে সব অনিশ্চয়তার একরকম ইতি টেনে দেন ওরিগি। জোয়েল মাতিপের পাস ডি-বক্সে বাঁ দিকে পেয়ে নিচু শটে দূরের পোস্ট দিয়ে জাল খুঁজে নেন বেলজিয়ামের ফরোয়ার্ড। সেমি-ফাইনালের ফিরতি লেগে বার্সেলোনার বিপক্ষে ইতিহাস গড়া ৪-০ ব্যবধানের জয়েও শেষ গোলটি করেছিলেন তিনি।
শেষ ১০ বারের চ্যাম্পিয়ন
২০১৮-১৯: লিভারপুল
২০১৭-১৮: রিয়াল মাদ্রিদ
২০১৬-১৭: রিয়াল মাদ্রিদ
২০১৫-১৬: রিয়াল মাদ্রিদ
২০১৪-১৫: বার্সেলোনা
২০১৩-১৪: রিয়াল মাদ্রিদ
২০১২-১৩: বায়ার্ন মিউনিখ
২০১১-১২: চেলসি
২০১০-১১: বার্সেলোনা
২০০৯-১০: ইন্টার মিলান