থ্রিডি-স্ক্যানিং প্রযুক্তির সাহায্যে বিভিন্ন দেশের ঐতিহ্যবাহী ও প্রত্নতাত্মিক স্থান ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় সংরক্ষণ করছেন ৭৫ বছর বয়সী বেন কেসরা। এ কাজের জন্য ‘সাইআর্ক’ নামে একটি অলাভজনক প্রতিষ্ঠানও গড়ে তুলেছেন তিনি।
Published : 27 Oct 2015, 09:47 PM
এক প্রতিবেদনে সংবাদসংস্থা সিএনএন জানিয়েছে, সিরিয়া, ইরাকসহ মধ্যপ্রাচ্যের যে স্থানগুলোতে রাজনৈতিক ও সামরিক অস্থিরতা বিরাজ করছে, সেসব স্থানে অবস্থিত বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ঐতিহাসিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনা থ্রিডি-স্ক্যানিংয়ের মাধ্যমে ডিজিটাল মডেল তৈরি করে সংরক্ষণ করার জন্য কাজ চালিয়ে যাচ্ছে সাইআর্ক।
সংরক্ষণের কাজগুলো যাতে সাইআর্ক আরও ভালোভাবে করতে পারে, সে লক্ষ্যে চলতি সপ্তাহে ইন্টারন্যাশনাল কাউন্সিল অফ মনুউমেন্টস অ্যান্ড সাইটসের সঙ্গে মিলিতভাবে ‘প্রজেক্ট আনকা’ নামে প্রতিষ্ঠানটি নতুন একটি প্রকল্প শুরু করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। ইতোমধ্যেই প্রতিষ্ঠানটি প্রথম প্রত্নতাত্ত্বিক স্থাপনার স্ক্যান সম্পন্ন করেছে।
সাইআর্ক লেজার স্ক্যানারের মাধ্যমে থ্রিডি রেন্ডারিং করে সাইটগুলো নথিভুক্ত করে। এরপর ধ্বংসস্তুপে আলোর প্রতিফলনের মাধ্যমে প্রতিটি ক্ষুদ্র বস্তুরও বিস্তারিত তথ্য সংগ্রহ করে। পরবর্তীতে ওই রেন্ডারিংকে উচ্চমানসম্পন্ন ছবির সঙ্গে একত্রিত করে ডিজিটাল মডেল তৈরি করা হয়।
সবমিলিয়ে একটি মডেল দাঁড় করাতে সর্বনিম্ন তিনদিন থেকে সপ্তাহখানেক সময় লাগে এবং ৫০ হাজার ডলার খরচ পড়ে।
এখন পর্যন্ত শুধু সাইআর্ক একাই এই ধরনের ৯০টি মডেল তৈরি করেছে।এর মধ্যে রয়েছে, ইরাকের ব্যাবিলন, ভারতের রাণী-কি-ভাভ, গুয়েতামালার তিকাল ইত্যাদি ঐতিহাসিক স্থান। এ প্রসঙ্গে সাইআর্কের প্রতিষ্ঠাতা কেসরা বলেছেন, “ভবিষ্যত প্রজন্মের জন্য এই ঐতিহাসিক স্থানগুলো রক্ষা করার বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করি আমি।”