নরসিংদীতে স্ত্রীকে কুপিয়ে জখম, স্বামীর ‘আত্মহত্যা’

নিহতের স্বজন ও পুলিশের ধারণা, ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী মারা গেছেন, এমন ধারণায় তিনি আত্মহত্যা করেন।

লাশকাটা ঘরের সামনে নিহতের স্বজনদের অপেক্ষা।

নরসিংদীতে এক গৃহবধূকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনা ঘটেছে। একই ঘরে তার স্বামীর ঝুলন্ত লাশ পাওয়া গেছে।

বুধবার সকালে নরসিংদী পৌর এলাকার কাউরিপাড়া মহল্লার একটি বাসায় এ ঘটনা ঘটে বলে নরসিংদী সদর মডেল থানার এসআই শাহীন আহমেদ জানান।

নিহত আকতার হোসেন (৪০) সদর উপজেলার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাউয়াদী এলাকার মলিল মিয়ার ছেলে।

আকতার তার দ্বিতীয় স্ত্রীকে (২৫) নিয়ে পৌর এলাকার কাউরিপাড়ার একটি পাঁচতলা ভবনের চতুর্থ তলায় ভাড়া থাকতেন।

নিহতের পরিবার ও পুলিশের ধারণা, ছুরিকাঘাতে আহত স্ত্রী মারা গেছেন, এমন ধারনায় তিনি আত্মহত্যা করেন।

এ ঘটনায় গুরুতর আহত ওই গৃহবধূকে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতাল ও পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।

নিহতের স্বজনরা জানান, আকতার হোসেন ৮ বছর আগে দ্বিতীয় বিয়ে করেন।

আকতারের প্রথম স্ত্রী জানান, তিনি শ্বশুর-শাশুড়ির সঙ্গে টাউয়াদিতে থাকেন। দ্বিতীয় বিয়ের পর থেকে আকতার তার সঙ্গে যোগাযোগ বন্ধ করে দেন। এমনকি আকতার তার মা-বাবার সঙ্গেও যোগাযোগ করতেন না। আজ সকালে শুনতে পান, আকতার আত্মহত্যা করেছেন।

ঘটনাস্থলের প্রতিবেশী অন্য ভাড়াটিয়ারা জানান, প্রথম স্ত্রীর কন্যা তার বাবা ও সৎ মায়ের সঙ্গে ওই বাসায় থাকে। বুধবার সকালে বাজার করে বাসায় ফেরেন আকতার হোসেন। এ সময় পারিবারিক কলহের জেরে স্ত্রীর সঙ্গে তর্কে জড়ান তিনি। এক পর্যায়ে স্ত্রীকে ছুরি দিয়ে আঘাত করেন। পরে আশপাশের লোকজন আহতকে উদ্ধার করে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়।

এদিকে খালি বাসায় ‘সিলিং ফ্যানের সঙ্গে ঝুলে আকতার হোসেনের আত্মহত্যা’র বিষয়টি টের পেয়ে স্থানীয় কাউন্সিলর ও পুলিশকে খবর দেয় আশপাশের লোকজন।

পরে পুলিশ গিয়ে বাসার দরজা ভেঙে আকতারের ঝুলন্ত মরদেহ উদ্ধার করে সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠায়।

এসআই শাহীন আহমেদ জানান, তদন্ত শেষে ঘটনার বিস্তারিত বলা যাবে।