প্রথম সন্তান পৃথিবীর আলো দেখার কথা জুলাইয়ে, তার আগেই জীবনের আলো নিভে গেল যশোরের বাঘারপাড়া উপজেলার ইব্রাহিম হোসেনের।
Published : 06 Jun 2022, 05:22 PM
শনিবার রাতে সীতাকুণ্ডের বিএম ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড ও বিস্ফোরণের ঘটনায় নিহত ৪১ জনের একজন ইব্রাহিম (২৭)। তার বাড়ি উপজেলার জোহরপুর ইউনিয়নের নরসিংহপুর গ্রামে। তিনি অবসরপ্রাপ্ত মাদ্রাসাশিক্ষক আবুল কাশেম মুন্সী ও দুলুপি বেগমের ছোট ছেলে।
সোমবার ভোরে তার মরদেহ গ্রামের বাড়িতে এলে স্বজনদের আহাজারিতে পরিবেশ ভারি হয়ে উঠে। ইব্রাহিমের আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী মুন্নি বেগম বার বার মূর্ছা যাচ্ছিলেন। শোকে নির্বাক হয়ে গেছেন বাবা-মা। বিলাপ করছিলেন দুই বোন সেলিনা ও হালিমা।
ইব্রাহিম বেসরকারি কোম্পানি প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের এক্সপোর্ট শিপিং সহকারী পদে চাকরি করতেন। তার খালাতো ভাই নাজমুল হোসেনও একই কোম্পানিতে অন্য একটি শাখায় কাজ করেন।
নাজমুল হোসেন বলেন, “ইব্রাহিমের স্ত্রীর ডেলিভারির জন্য জুলাইয়ে দিন দিয়েছেন চিকিৎসক। কথা ছিল, তিনি ছুটিতে বাড়ি এসে সন্তানের মুখ দেখবেন। তার আগেই তাকে চলে যেতে হলো।”
“শনিবার রাত ৯টা থেকে সাড়ে ৯টার মধ্যে দগ্ধ হন ইব্রাহিম। এর আগে বাড়িতে মা-বাবা, স্ত্রীসহ অন্যদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেন তিনি। অনেকের মতো ইব্রাহিম আগুনের ভিডিও ফেইসবুকে লাইভ করছিলেন। কিছু সময় পর ডিপোর কনটেইনারগুলো বিস্ফোরিত হয়। এরপর থেকে ইব্রাহিম নিখোঁজ ছিলেন। পরদিন রোববার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে লাশ পাওয়া য়ায়।“
জোহরপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান মিন্টু বলেন, “পাঁচ বছর আগে চট্টগ্রামে চাকরি পান ইব্রাহিম। দেড় বছর আগে গ্রামেই বিয়ে করেন তিনি। তার এমন মৃত্যুতে পুরো গ্রামে শোকের ছায়া নেমে এসেছে।
সকাল ৯টায় ইব্রাহিমকে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।