পুরাতন বছরের দুঃখ-গ্লানি মুছে নতুন বছরে নবপ্রাণের আশায় সাংগ্রাই উৎসবে মেতেছে ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠী মারমা সম্প্রদায়ের মানুষেরা।
Published : 13 Apr 2022, 02:42 PM
পাহাড়ে নববর্ষ বরণ উৎসবের দ্বিতীয় দিনে খাগড়াছড়িতে মারমা জাতিগোষ্ঠীর বর্ণিল সাংগ্রাই উৎসবের জলকেলি দেখতে সমতলের পর্যটকরাও হাজির হয়েছেন।
বুধবার সকালে উৎসব উপলক্ষে মঙ্গল শোভাযাত্রার উদ্বোধন করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা। খাগড়াছড়ি পানখাইয়া উন্নয়ন সংসদ মাঠ থেকে শোভাযাত্রাটি বের হয়ে শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে।
এ সময় কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা পাহাড়ে এই বর্ণিল উৎসবের মধ্য দিয়ে সম্প্রীতির বন্ধন আরও অটুট-সুদৃঢ় হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
এরপর ‘সকল দুঃখ গ্লানি মুছে যাক, সবখানে নবপ্রাণ ফিরে পাক’- স্লোগানে শুরু হয় রি-আকাজা বা জলকেলি উৎসব। এ সময় তরুণ-তরুণী, যুবক-যুবতীরা সামনের দিনগুলোতে অনাবিল সুখ আর শান্তি কামনা করেন। করোনাভাইরাসের কারণে দুই বছর বন্ধ থাকার পর এবার সাংগ্রাই উৎসব পাহাড়ে নতুন মাত্রায় উদযাপিত হচ্ছে।
উৎসবে অংশ নেওয়া মারমা তরুণীরা জানান, সারা বছর তারা সাংগ্রাই উৎসবের জন্য অপেক্ষা করেন। এটি তাদের প্রধান উৎসব। তবে গত দুই বছর করোনাভাইরাসের কারণে তারা সাংগ্রাই উদযাপন করতে পারেননি। তাই এবার উচ্ছ্বাস বেশি। জলকেলিতে অংশ নিয়েছেন, বন্ধুদের সঙ্গে খুব আনন্দ করেছেন।
এদিকে সাংগ্রাইসহ বৈসাবি উৎসব দেখতে খাগড়াছড়িতে ভিড় করেছেন পর্যটকরা। ঐতিহ্যবাহী উৎসব দেখে মুগ্ধ তারা।
পর্যটক শান্তা পাল বলেন, “পাহাড়ে এবার উৎসব দেখার জন্য এসেছি। আজকে মারমাদের সাংগ্রাই উৎসবে অংশ নিয়েছি। অসাধারণ অনুভূতি। এত কালারফুল আয়োজন।”
মারমা ভাষার কবি চিংলা মং চৌধুরী বলেন, “মারমা জনগোষ্ঠীর বিশ্বাস এই জলকেলি উৎসবের মধ্য দিয়ে অতীতের সব দুঃখ-গ্লানি ও পাপ ধুয়ে-মুছে যাবে। সাংগ্রাই মারমাদের প্রধান সামাজিক উৎসব। তবে এতে ধর্মীয় সংশ্লেষও রয়েছে।