নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জে ‘দেড় লাখ টাকা ছিনতাইকালে’ স্থানীয় জনতার হাতে আটক ফেনীর তিন পুলিশ সদস্যকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
Published : 28 Feb 2022, 02:50 PM
এরা হলেন- সোনাগাজী মডেল থানার আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের পুলিশের সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) মো. জহিরুল হক, কনস্টেবল আনোয়ার হোসেন ও কনস্টেবল কায়সার হামিদ।
রোববার রাতে এ তিন পুলিশ সদস্যকে ফাঁড়ি থেকে প্রত্যাহার করে পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে ফেনীর পুলিশ সুপার (এসপি) মো. আবদুল্লাহ আল মামুন জানান।
মামুন বলেন, টাকা ছিনতাই ও জনতার হাতে পুলিশ সদস্য আটকের ঘটনাটি তদন্তের জন্য জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) বদরুল আলম মোল্লাকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ঠ কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী তিন কর্মদিবসের মধ্যে তারা তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিলে সে অনুয়ায়ী অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
দেড়লাখ টাকা ছিনতাই বা উদ্ধারের বিষয়ে পুলিশ সুপার বলেন, “পুলিশ সদস্যদের থেকে কোন টাকা উদ্ধার হয়নি। টাকা জনতার কাছে ছিল বলে জেনেছি। তদন্তে যদি পুলিশ সদস্যদের কাছে টাকার তথ্য পাওয়া যায় তাহলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ফৌজদারি ব্যবস্থা নেয়া হবে।“
রোববার রাত সাড়ে ১২টায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মুছাপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড ছোটধ্বলি গ্রামে ছিনতাই করা দেড়লাখ টাকাসহ তিন পুলিশ সদস্যকে আটক করে জনতা।
ঘটনার বর্ণনায় নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার মুছাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. আইয়ুব আলী বলেন, “সোনাগাজীর ছোটধ্বলি গ্রামের ব্যবসায়ী শেখ ফরিদ রোববার রাতে দোকান বন্ধ করে বাড়ি ফিরছিল। পথে রাস্তার ওপর তিন পুলিশ সদস্য তার বিরুদ্ধে ইয়াবা ব্যবসার অভিযোগ এনে একটি সিএসজিচালিত অটোরিকশায় তুলে তাকে মারধর শুরু করে। পরে ব্যবসায়ীর কোমরে থেকে দেড়লাখ টাকার বান্ডিল ছিনিয়ে নিয়ে তাকে রাস্তার পাশে ফেলে দেন।
“পরে তার চিৎকারে আশপাশের লোকজন ধাওয়া করে অটোরিকশাসহ তিন পুলিশকে আটক করে। পরে ঘটনাস্থলে গিয়ে তাদের কাছ থেকে ব্যবসায়ীর দেড় লাখ টাকা উদ্ধার করি এবং ফেনীর পুলিশ সুপারের অনুরোধে তাদেরকে সোনাগাজী থানা পুলিশের হাতে তুলে দিই।”
এ বিষয়ে সোনাগাজী মডেল থানার ওসি মোহাম্মদ সাজেদুল ইসলাম বলেন, “আদর্শগ্রাম তদন্ত কেন্দ্রের ৩ পুলিশ সদস্যের সঙ্গে মুছাপুরের স্থানীয় লোকজনের সামান্য ভুল বোঝাবুঝি হয়েছে।”