অধিবাসের মধ্য দিয়ে পর্যটন কেন্দ্র কুয়াকাটায় সনাতন ধর্মাবলম্বীদের তিন দিনব্যাপী রাস পূজা শুরু হয়েছে।
Published : 18 Nov 2021, 09:59 PM
বুধবার রাত ১২টা ১ মিনিটে কুয়াকাটা শ্রী শ্রী রাধা-কৃষ্ণ মন্দির ও তীর্থযাত্রী সেবাশ্রমে সতেরো জোড়া রাধা-কৃষ্ণের যুগল প্রতিমা স্থাপনের মধ্য দিয়ে রাস পূজার অধিবাস হয়।
এ সময় ভাগবত পাঠ, আরতি, শাঁখ, উলু-শঙ্খধ্বনি এবং নাম কীর্তনে পুরো মন্দির প্রাঙ্গণ মুখরিত হয়ে ওঠে।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় আরতি ও পূজার্চনা শেষে হয় ভাগবত পাঠ ও নাম কীর্তন।
ইতিমধ্যেই মন্দির প্রাঙ্গণ ও এর আশপাশ এলাকা পুণ্যার্থীদের আগমনে পরিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। শুক্রবার উষারগ্নে হবে পুণ্যস্নান।
দর্শণার্থী, পুণ্যর্থী ও ভক্তদের নিরাপত্তায় কুয়াকাটায় কয়েক স্তরের নিরাত্তার দায়িত্বে রয়েছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। থাকছে মেডিকেল টিমও।
মন্দিরের পুরোহিত শিশির মহারাজ বলেন, এই তিথি শুরু হয়েছিল ভগবান শ্রী কৃষ্ণকে পাওয়ার জন্য বৃন্দাবনে। যমুনা পাড়ে ভগবানকে নিয়ে ভক্তরা লীলা করেছিলেন এবং সেখানে পরম পবিত্রভাবে অতি গোপনে এই রাস লীলার প্রচলন হয়েছিল।
পটুয়াখালীর পুলিশ সুপার মো. শহীদুল্লাহ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, কুয়াকাটায় রাস পূর্ণিমা উপলক্ষে সনাতন ধর্মাবলম্বীসহ পর্যটকদের উপচেপড়া ভিড় হবে; তাই আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা মন্দিরসহ জন-সমাগমস্থলে সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। রয়েছে গোয়েন্দা নজরদারী। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক রাখতে পুলিশসহ স্থানীয় প্রশাসন সার্বক্ষণিক তৎপর রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন ডা. মো. জাহাংগির আলম শিপন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, যেহেতু বহু লোকের সমাগম তাই কেউ অসুস্থ হলে তাকে চিকিৎসা দিতে এবং স্বাস্থ্য বিধি মানতে কুয়াকাটায় রাখা হয়েছে একাধিক মেডিকেল টিম।
তিনি জানান, বৃহম্পতিবার দিন-রাত আচার অনুষ্ঠান শেষে শুক্রবার উষালগ্ন থেকে রাস পূর্ণিমা লগ্ন অনুযায়ী সাগর সৈকত কুয়াকাটা সৈকতে পাপ মোচন ও পুণ্য লাভের আশায় নামবে পুণ্যার্থী ও পর্যটকদের ঢল।
একই দিন সকালে সৈকতে অনেকেই আবার ভিন্ন ভিন্ন মানত করা পূজা দিবেন পুরোহিত এনে। তবে শুধু পুণ্যার্থীরাই নয়, নানা ধর্ম-বর্ণের মানুষ মিলিত হবে রাস পূজা, সমুদ্র স্নানানুষ্ঠানে।