সিরাজগঞ্জে রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ে অবরুদ্ধ শিক্ষকসহ কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ১০ ঘণ্টা পর পুলিশের হস্তক্ষেপে মুক্ত হয়েছেন।
Published : 25 Oct 2021, 12:08 PM
শাহজাদপুর থানার এসআই রুবেল হোসেন জানান, রোববার রাত দেড়টার দিকে তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে গিয়ে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা করেন। রাত ২টার দিকে অবরুদ্ধ সবাই মুক্ত হন।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও বাংলাদেশ অধ্যয়ন বিভাগের ১৬ শিক্ষার্থীর মাথার চুল কেটে দেওয়ার অভিযোগ ওঠে বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী প্রক্টর ফারহানা ইয়াসমিন বাতেনের বিরুদ্ধে।
এ ঘটনায় এক ছাত্র ঘুমের ওষুধ খেয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। এর পর শিক্ষার্থীরা পরীক্ষা বর্জন করে একাডেমিক এবং প্রশাসনিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দিয়ে আন্দোলনে নামেন।
এর ধারাবাহিকতায় রোববার বিকেল ৪টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কয়েকজন শিক্ষক সাক্ষাৎ করতে গেলে ভবনের গেটে তালা দিয়ে অবরুদ্ধ করা হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. সোহরাব আলী বলেন, “আমরা সিদ্বান্ত নিয়েছি, আগামী ১০ কার্য দিবসের মধ্যে সংকট কাটিয়ে শিক্ষক ফারহানা বাতেনের বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমি এসেছিলাম ভিসি মহোদয়ের এই সিদ্ধান্ত জানাতে। কিন্তু শিক্ষার্থীরা আমার কথায় কর্ণপাত করেনি।
“একপর্যায়ে শিক্ষামন্ত্রী দিপু মনি মহোদয় শিক্ষার্থীদের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলার জন্য সংযুক্ত হন, কিন্তু তারা তার সঙ্গেও কথা বলতে রাজি হয়নি। তারা অন্যায়ভাবে আমাদের একাডেমিক ভবনে প্রায় ১০ ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রেখেছিল।”
এ বিষয়ে একাধিক শিক্ষার্থীর মোবাইলে ফোনে যোগাযোগ করলেও তারা সাড়া দেননি।
আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে ফারহানা ইয়াসমিন বাতেন তিনটি প্রশাসনিক পদ ত্যাগ করেছেন। ঘটনা তদন্তে গঠন করা হয়েছে পাঁচ সদস্যের কমিটি। সিন্ডিকেট সভায় ফারহানাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। তবে শিক্ষার্থীদের দাবি ফারহানার স্থায়ী অপসারণ।