হাশেম ফুডসে কত শিশু শ্রমিক ছিল দেখা হচ্ছে: র‌্যাব ডিজি

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কাখানায় কত শিশু শ্রমিক ছিল তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন র‌্যাব মহাপরিচালক চৌধুরী আবদুল্লাহ আল মামুন।

বৃহস্পতিবার নারায়ণগঞ্জে এক অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, দেশের সকল শিল্প কারখানায় শিশুশ্রম বন্ধে র‌্যাবের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যে শ্রম অধিদপ্তরকে তাগিদ দেওয়া হয়েছে।

বিকালে উপজেলার ভুলতা স্কুল এন্ড কলেজ মাঠে সজীব গ্রুপের খাদ্যপণ্য উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে হতাহত ও ক্ষতিগ্রস্ত পাঁচ শতাধিক শ্রমিক পরিবারের মাঝে ঈদ উপহার দেন।

পরে তিনি শিশু শ্রমসহ বিভিন্ন প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন।

এ সময় তিনি ক্ষতিগ্রস্তদের হাতে ঈদ উপহারের প্যাকেট তুলে দেন এবং শ্রমিকদের বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে খোঁজখবর নেন।

ঈদ উপহার দেওয়া ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে অগ্নিকাণ্ডের সময় ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে আহত ৪৩ জন শ্রমিকও ছিলেন।

অগ্নিকাণ্ডে নিখোঁজের ব্যাপারে র‌্যাবের কাছে কোনো তথ্য আছে কিনা প্রশ্নের জাবাবে র‌্যাব মহাপরিচালক সাংবাদিকদের বলেন, নিহতদের মরদেহের ডিএনএ পরীক্ষা চলছে। এটা শেষ হতে সময়ের ব্যাপার। ডিএনএ পরীক্ষা সম্পন্ন হওয়ার পর কেউ নিখোঁজ আছে কিনা তা নিশ্চিত হওয়া যাবে।

এছাড়া এ ঘটনায় গঠিত তিনটি তদন্ত কমিটির তদন্ত শেষ হলে তাদের প্রতিবেদনে সবকিছু পরিষ্কার হবে বলেও তিনি জানান।

সেখানে অন্যান্যের মধ্যে র‌্যাবের অতিরিক্ত মহাপরিচালক কর্নেল একে আজাদ, র‌্যাব মিডিয়া উইংয়ের পরিচালক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মইন উদ্দিন, র‌্যাব ১১ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তানভীর মাহমুদ পাশা, মেজর নাজমুস সাকিবসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

গত ৮ জুলাই হাশেম ফুডস অ্যান্ড বেভারেজ কারখানায় আগুনে অর্ধশতাধিক মারা গেছে।