শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের অধীনে রাজস্ব খাতের আওতায় ভোলায় ‘অর্ধশতাধিক’ মাধ্যমিক বিদ্যালয় ভবন নির্মাণের কাজ বন্ধ রেখেছে ঠিকাদাররা।
Published : 22 Dec 2020, 03:09 PM
সংশ্লিষ্টরা বলছেন, শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের কোড নম্বর ৭০১৬ প্রকল্পের চলতি বছরে বরাদ্দের টাকা না আসায় এই পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর ভোলা জোনের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহাঙ্গীর আলম জানান, রাজস্ব খাতের আওতায় ভোলা জেলায় ৫০ থেকে ৬০টি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ চলছে। কিন্তু চলতি অর্থ বছরে ডিসেম্বর পর্যন্ত কোনো অর্থ বরাদ্দ না হওয়ায় এবং বিগত কয়েক বছরের ঠিকাদারদের পাওনা পরিশোধ হয়নি। ফলে ভোলা জেলায় অর্ধশতাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজের মধ্যে অধিকাংশই বাস্তবায়ন বন্ধ রেখেছেন সংশ্লিষ্ট ঠিকাদাররা।
কাজ বন্ধ রাখার ব্যাপারে জিএম হাই স্কুলের ঠিকাদার ছামাদ রবিন বলেন, “৭০ লাখ টাকার কাজ শেষ করেছি। গত অর্থ বছরে মাত্র ১০ লাখ টাকা পেয়েছি। এ বছরে কোনো বরাদ্দ না আসায় কোনো বিল পাইনি তাই কাজ বন্ধ রেখেছি।”
তিনি বলেন, সব দপ্তরে বছরে কমপক্ষে চার বার ফান্ড (বরাদ্দের টাকা) আসে। এলজিইডিতে সেপ্টেম্বরে ফান্ড এসেছে, আবার এই ডিসেম্বরেও উন্নয়ন কাজের ফান্ড এসেছে। অথচ শিক্ষা প্রকৌশল বিভাগে চলতি অর্থ বছরের ছয় মাস গেলেও কোনো ফান্ড আসেনি।
তিনি আরও জানান, প্রতি মাসে কাজের অগ্রগতি প্রতিবেদনের সাথে অর্থ বরাদ্দ চাওয়া হয়ে থাকে।
শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের একাধিক প্রকৌশলী জানান, ডিপার্টমেন্টের প্রধান প্রকৌশলী পদের দায়িত্ব নিয়ে নানা রকম লবিং চলছে। সদ্য সাবেক প্রধান প্রকৌশলী বুলবুল আকতার মন্ত্রণালয়ে প্রকল্প বাস্তবায়নের অর্থ বরাদ্দ না চাওয়ায় অর্থ পাওয়া যায়নি। ফলে এ প্রকল্পের আওতায় সারা দেশের দুই হাজারের বেশি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ভবন নির্মাণ কাজ স্থবির অবস্থায় রয়েছে।