মামলার আলামত হিসেবে জব্দ করা মোটরসাইকেল, রিকশাসহ শত শত মালামাল খোলা আকাশের নিচে রেখে দিয়েছে পুলিশ। দীর্ঘ দিনের এসব মামলার আলামতের সেই জট এসে লেগেছে নারায়ণগঞ্জ আদালত প্রাঙ্গণেও।
Published : 10 Dec 2020, 09:22 AM
বছরের পর বছর খোলা জায়গায় থেকে বিভিন্ন মামলার গুরুত্বপূর্ণ আলামত নষ্ট হচ্ছে। খোলা আকাশের নিচে রাখার ফলে এসব চুরি হওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা মনে করেন, মামলার রায়ে আলামতের বিষয়ে নির্দেশনা না থাকায় এবং রায়ের কপি না পাওয়ায় এবং আলামত নিষ্পত্তির ক্ষেত্রে সুষ্পষ্ট আইন না থাকায় আলামতের জট বাড়ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, আদালত প্রাঙ্গণের মালখানার বাইরে বারান্দায় ও খোলা আকাশের নিচে মোটরসাইকেল, রিকশা, রিকশাভ্যান, ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা, বৈদ্যুতিক তার, ড্রামসহ বিভিন্ন মামলার আলামত পড়ে আছে।
সেগুলোর উপরে ময়লার আস্তরণ পড়েছে। অনেক আলামত নষ্ট হয়েও যাচ্ছে। এভাবে পড়ে থাকায় এসব যানবাহনের যন্ত্রাংশ চুরি হয়ে যাচ্ছে।
পুলিশ কর্মকর্তা আসাদুজ্জামান আরও জানান, জেলার সাতটি থানার মাদক, চুরি, ডাকাতি, হত্যাসহ বিভিন্ন মামলার বিপুল সংখ্যক আলামত জব্দ করা হয়েছে। বছরের পর বছর এসব মামলা নিষ্পত্তি না হওয়ায় এভাবেই রাখতে হচ্ছে মামলার আলামত। এত আলামত পড়ে থাকায় স্বাভাবিক কাজকর্মে বিঘ্ন ঘটছে।
তিনি বলেন, বিচারাধীন মামলাগুলো যাতে দ্রুত নিষ্পত্তি করা যায় সে বিষয়ে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। তবে আলামত রাখার জন্য জায়গা বাড়ানো প্রয়োজন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সম্প্রতি জেলার সাতটি থানা থেকে বিভিন্ন মামলার আলামত আদালত প্রাঙ্গণে নিয়ে আসা হয়েছে। সেগুলো আদালত প্রাঙ্গণে খোলা আকাশে নিচে রাখা হয়েছে।
“ মামলা তদন্তাধীন পর্যায়ে আলামতের বিষয়টি নিষ্পত্তি করতে হবে। মামলার রায়ের সাথে আলামতের বিষয়ে আদালতের আদেশ দেওয়া প্রয়োজন। প্রয়োজনে এসব মালামাল নিলামে বিক্রি করে ওই টাকা সরকারি কোষাগারে জমা করা যেতে পারে।”
এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার জায়েদুল আলম বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, জেলায় চুরি, ডাকাতি,মাদকসহ বিভিন্ন মামলার লাখ লাখ আলামত। এত আলামত রাখার জায়গা নেই। তাই বাধ্য হয়ে আলামতগুলোকে আদালত প্রাঙ্গণে খোলা জায়গায় রাখতে হচ্ছে।
তিনি বলেন, আদালত প্রাঙ্গণে যে জায়গা সেখানে ১০ শতাংশ মামলার আলামত রাখা সম্ভব। বাকি আলামত রাখার জন্য জায়গায় বাড়ানো প্রয়োজন বলে তিনি জানান।