সিলেট এমসি কলেজ ছাত্রাবাসে দলবেঁধে গৃহবধূ ধর্ষণের ঘটনায় আরো দুই আসামির ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে।
Published : 03 Oct 2020, 01:03 PM
শনিবার দুপুরে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ানস্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে তাদের নমুনা সংগ্রহ করা হয় বলে জানিয়েছেন হাসপাতালের উপ-পরিচালক হিমাংশু লাল রায়।
“আসামিদের ডিএনএ নমুনার সাথে ধর্ষিতার ডিএনএ মিলিয়ে দেখা হবে।”
এ মামলার আসামি তারেক আহমদ ও মাহফুজুর রহমান মাসুমের নমুনা নেওয়া হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার মামলার প্রধান আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর, রবিউল ইসলাম, শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, রাজন মিয়া এবং আইনুদ্দিনের ডিএনএ পরীক্ষার জন্য নমুনা সংগ্রহ করা।
গত শুক্রবার মামলার তিন আসামি সাইফুর রহমান, অর্জুন লস্কর ও রবিউল ইসলাম আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।
গত ২৬ সেপ্টেম্বর রাত সাড়ে ৯টার দিকে টিলাগড় এলাকার এমসি কলেজে স্বামীর সাথে বেড়াতে আসা ওই গৃহবধূকে ক্যাম্পাস থেকে তুলে ছাত্রাবাসে নিয়ে ধর্ষণ করেন কয়েকজন ছাত্রলীগ কর্মী।
সাইফুর রহমানকে প্রধান আসামি করে নয় জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার আসামিরা হলেন, এমসি কলেজ ছাত্রলীগ কর্মী সাইফুর রহমান, কলেজের ইংরেজি বিভাগের
মাস্টর্সের ছাত্র শাহ মাহবুবুর রহমান রনি, মাহফুজুর রহমান মাছুম, অর্জুন লস্কর, বহিরাগত ছাত্রলীগ
কর্মী রবিউল ও তারেক আহমদ। এছাড়া অজ্ঞাত আরো তিনজনকে আসামি করা হয়েছে।
শাহপরাণ থানার ওসি আব্দুল কাইয়ুম চৌধুরী জানান, এ পর্যন্ত মামলায় এজহারনামীয় ছয়জনসহ আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সবাইকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
এরমধ্যে তিনজনকে রিমান্ড শেষে শুক্রবার কারাগারে পাঠানো হয়েছে। তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে।