নীলফামারীতে এক গৃহবধূকে হত্যা করে নদীর তীরে লাশ ফেলে রাখার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
Published : 06 Jul 2020, 08:57 PM
সোমবার দুপুর আড়াইটার দিকে কিশোরগঞ্জ উপজেলার নিতাই ইউনিয়নের চাড়ালকাটা নদীর বেলতলি ঘাট এলাকার সেতুর নিচ থেকে তার মরদেহ উদ্ধার হয়।
নিহত শ্যামলী আক্তার (২৪) নিতাই ইউনিয়নের বালাপাড়া গ্রামের কান্দুরা মামুদের ছেলে আশিকুর রহমানের (৩০) স্ত্রী।
কিশোরগঞ্জ থানার ওসি হারুন অর রশিদ বলেন, “এটি হত্যাকাণ্ড বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
“নিহতের স্বামী আশিকুর রহমানকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।”
প্রায় তিন বছর আগে আশিকুরের সাথে শ্যামলীর বিয়ে হয়। তাদের দুই বছরের একটি ছেলে রয়েছে।
নিহত শ্যামলীর দাদি হাসনা বেগম (৫৫) বলেন, শ্যামলী সম্প্রতি তার বাবার বাড়িতে বেড়াতে এসে তিনদিন অবস্থান করে গত শনিবার সন্ধ্যায় স্বামীর বাড়িতে যায়। সাথে তার দুই বছরের একমাত্র ছেলে ছিল। বাবার বাড়িতে একদিন থাকার কথা বলে কেন তিন দিন ছিল এ নিয়ে স্বামী আশিকুর তাকে মারপিট করে। ওই মারপিটে শ্যামলীর মৃত্যু হলে রাতের আঁধারে নদীতে তার মরদেহ ফেলে দেয় স্বামী আশিকুর রহমান।
শ্যামলীর বাবা আসাদুজ্জামান বলেন,“মেয়ের নিখোঁজের সংবাদ পেয়ে আমি ও আমার স্ত্রী গিয়ে ইউপি চেয়ারম্যানকে জানাই। তিনি আমাদের থানায় জিডি করার পরামর্শ দেন।
নিতাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মো. ফারুকুজ্জামান বলেন, দুপুরে নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে দুই যুবক শ্যামলীর মরদেহ নদীর পানিতে ভাসতে দেখে। খবর পেয়ে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।
ওই গৃহবধূর ভাসমান মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নীলফামারী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।