নাটোরে একটি হত্যার ঘটনায় এক নারীসহ চারজন আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন।
Published : 19 Jun 2020, 10:07 PM
শুক্রবার নাটোরের পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা এক সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানান।
গত ১৫ জুন সন্ধ্যায় বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকরী গ্রামের বিলে এক পাটক্ষেত থেকে ওই গ্রামের খয়ের উদ্দিনের ছেলে মোবারক হোসেনের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়।
এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার তিন জন এবং শুক্রবার একজন আদালতে ফৌজদারি কার্যবিধিরর ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দেন।
তারা হলেন গুরুদাসপুর উপজেলার সোনাবাজু গ্রামের এক নারী (৩০), একই গ্রামের ইমরুল প্রামাণিকের ছেলে রশিদ প্রামাণিক (৩৮), জিয়াউর রহমানের ছেলে জিহাদ আলী (৩২) ও বড়াইগ্রাম উপজেলার ইকরী গ্রামের আব্দুল বারীর ছেলে আসাদুল ইসলাম (৩২)।
হত্যার বিবরণ দিতে গিয়ে পুলিশ সুপার লিটন কুমার সাহা বলেন, সন্দেহ হওয়ায় সোনাবাজু গ্রামের ওই নারীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি মোবারককে হত্যার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করেন।
পুলিশের তদন্তের উদ্ধৃতি দিয়ে এসপি বলেন, “গ্রেপ্তারকৃত আসামি রশিদ, জিহাদ, আসাদুল ও নিহত মোবারকের সাথে টাকার বিনিময়ে অবৈধ সম্পর্ক ছিল এই নারীর। আর্থিক অবস্থা খারাপ হওয়ায় মোবারক ঠিকমতো টাকা পরিশোধ করতে পারতেন না। এ নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা কাটাকাটির জেরে এই নারীর সঙ্গে অন্য তিনজনের সম্পর্কের কথা মোবারক প্রকাশ করে দেন। “এছাড়া গ্রেপ্তারদের অপর তিন আসামির একজনের স্ত্রীর সঙ্গে নিহত মোবারকের সম্পর্ক ছিল।”
এতে ক্ষুদ্ধ হয়ে তারা পরিকল্পিতভাবে মোবারককে হত্যা করে বলে পুলিশের তদন্তে উঠে আসে, বলেন এসপি লিটন সাহা।
পুলিশ জানায়, গত ১৫ জুন বিকালে ইকরী গ্রামের বেড়ী বিলে এক পাটক্ষেতের পাশে গরু চরাচ্ছিলেন মোবারক। এ সময় পরিকল্পনা মতো এই নারী সেখানে উপস্থিত হয়ে মোবারককে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনের প্রলোভন দেখিয়ে পাটক্ষেতে নিয়ে যান। সেখানে এই নারীসহ চারজন মোবারককে হত্যা করে