অতি শক্তিশালী ঘূর্ণিঝড় আম্পানের তাণ্ডব থেকে রক্ষায় বাগেরহাটে মানুষের পাশাপাশি সাড়ে ৮৪ হাজার গবাদি পশুর জন্যও আশ্রয়কেন্দ্রে ব্যবস্থা করা হয়েছে বলছে জেলা প্রশাসন।
Published : 19 May 2020, 11:56 PM
মঙ্গলবার জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ জানান, ২০০৭ সাল থেকে নির্মিত সাইক্লোন শেল্টারগুলোতে মানুষের পাশাপাশি গবাদি পশু রাখার ব্যবস্থা করা হয়ে আসছে।
“জেলার চারটি উপজেলার আশ্রয়কেন্দ্রে ৮৪ হাজার ৫০০টি গবাদি পশু রাখা যাবে।”
এদিকে, মঙ্গলবার বিকাল থেকে জেলার সুন্দরবন ও নদীবেষ্টিত উপজেলার বাসিন্দারা আশ্রয়কেন্দ্রে যেতে শুরু করে। এদের মধ্যে বয়স্ক নারী, পুরুষ, শিশু ও প্রতিবন্ধিই বেশি রয়েছেন।
বাগেরহাটের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মো. কামরুল ইসলাম রাতে বলেন, প্রবল বেগে ধেয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় থেকে উপকূলের বাসিন্দাদের রক্ষা করতে মাইকিং করা হয়।
“জেলার নয় উপজেলায় মঙ্গলবার রাত ১০টা পর্যন্ত ৫০ হাজার মানুষ ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্রে আশ্রয় নিয়েছেন। এদের মধ্যে বয়স্ক নারী, পুরুষ, শিশু ও প্রতিবন্ধিই বেশি রয়েছেন।
বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক মামুনুর রশিদ রাতে জানান, ঘূর্ণিঝড় আম্পান মোকাবেলায় জেলায় ‘সর্বোচ্চ প্রস্তুতি’ নেওয়া হয়েছে। করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে স্থানীয়রা যাতে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে আশ্রয় কেন্দ্রে অবস্থান নিতে পারে সেজন্য জেলায় ৯৭৭টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র খোলা হয়েছে।
এসব আশ্রয় কেন্দ্রে ৪ লাখ ৮৪ হাজার ২৭৭ জন মানুষ আশ্রয় নিতে পারবে। আশ্রয় কেন্দ্রে জনসাধারণকে নিতে সেচ্ছাসেবক রাখা হয়েছে ১১ হাজার ৭০৮ জন। চিকিৎসাসেবা দিতে ৮৪টি মেডিকেল টিম প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান তিনি।