নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স অবরুদ্ধ করার পর এবার সেখানে চিকিৎসক, নার্স ও রোগীসহ ১০০ জনকে এবং বাকিদের বিভিন্ন জায়গায় কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।
Published : 08 Apr 2020, 07:21 PM
এক চিকিৎসকের শরীরে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়ায় মঙ্গলবার বিকালে ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করা হয়।
কিশোরগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. আবু শফি মাহমুদ জানান, মঙ্গলবারের পর থেকে নতুন রোগী ভর্তি নেওয়া এবং বর্হিঃবিভাগে চিকিৎসা সেবা বন্ধ রাখা হয়েছে। বুধবার তাদের মধ্যে ১৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।”
শফি বলেন,“ ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে ১৫০ জনকে। এর মধ্যে নয়জন চিকিৎসক, ১৯ জন নার্স, ১৯ জন রোগী, কর্মকর্তা-কর্মচারী এবং স্বাস্থ্য কপ্লেক্সের আবাসিকে থাকা লোকজনসহ ১০০ জন রয়েছেন। এছাড়া ৫০ জনকে বিভিন্ন জায়গায় কেয়ারেন্টিনে পাঠানো হয়েছে যারা, ওই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নিয়ে ফেরত যাওয়া রোগী ও তাদের স্বজন।”
আর করোনাভাইরাসে আক্রান্ত চিকিৎসক বর্তমানে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আইসোলেশনে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তার শারিরীক অবস্থা ভালো আছে বলে তিনি জানান।
সিভিল সার্জন ডা. রনজিৎ কুমার বর্মন বলেন,“যেহেতু ওই চিকিৎসক চিকিৎসা সেবায় নিয়োজিত ছিলেন তাই স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সটি লকডাউন করা হয়েছে। সেখানে কর্মরত চিকিৎসক, নার্স, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও আবাসিকে থাকা পরিবারের সদস্যদের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিনে রাখা হয়েছে।”