টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলায় জ্বর, সর্দি ও কাশিতে ঢাকার এক পান বিক্রেতার মৃত্যুর পর তাদের বাড়িটি লকডাউন করেছে স্থানীয় প্রশাসন।
Published : 31 Mar 2020, 09:55 PM
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা জানান, উপজেলার মহিষমারা ইউনিয়নের টেক্কারবাজার গ্রামের বাড়িতে মঙ্গলবার সকালে ওই যুবকের (৩৫) মৃত্যু হয়েছে।
এরপর স্বাস্থ্য বিভাগের লোকজন গিয়ে নমুনা সংগ্রহ করে এবং তাদের বাড়ি লকডাউন করে বলে জেলার সিভিল সার্জন ওয়াহীদুজ্জামান জানান।
এই যুবক ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ পানের দোকান করতেন; রোববার তিনি বাড়ি এসেছিলেন বলে স্থানীয়রা জানিয়েছেন।
মহিষমারা ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য আবুল কালাম আজাদ জানান, যুবকটি ঢাকায় ভ্রাম্যমাণ পানের দোকান নিয়ে পান বিক্রি করতেন; গত রোববার বাড়ি এসেছিলেন। বিষয়টি তার পরিবারের লোকজন গোপন রেখেছিল।
“সোমবার থেকে তার পাতলা পায়খানা শুরু হয়েছিল। মঙ্গলবার রক্ত বমি করতে করতে তার মৃত্যু হয়। দুপুরে তার মৃত্যুর পরই এলাকায় ‘করোনায় আক্রান্ত’ হয়ে মারা গেছে বলে খবর ছড়িয়ে পড়ে। আশপাশের বাড়ির লোকজনও দূরে সরে যায়।”
মধুপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আরিফা জহুরা বলেন, উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের টিম এসে নমুনা সংগ্রহ করেছে। পরীক্ষা করলেই বোঝা যাবে তিনি কী রোগে মারা গেছেন।”
টাঙ্গাইলের সিভিল সার্জন ওয়াহীদুজ্জামান বলেন, ওই যুবকের বাড়িতে গিয়ে আইইডিডিসিআরের প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত চিকিৎসক ও মধুপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা রুবিনার নেতৃত্বে একটি দল মৃত ব্যক্তির নমুনা সংগ্রহ করেছে।
“ওই ব্যক্তি করোনায় আক্রান্ত হয়েছিল কিনা তা পরীক্ষার জন্য আগামীকাল সকালে ঢাকায় পাঠানো হবে। ওই দলের তত্ত্বাবধানে মৃত ব্যক্তির দাফন হবে। মৃত ব্যক্তির বাড়ি লকডাউন করা হয়েছে।”