ফরিদপুরে এলাকাবাসীর চাঁদায় মধুমতীতে সাড়ে ৮০০ মিটার ভাসমান সেতু তৈরি করা হয়েছে।
Published : 29 Mar 2020, 04:52 PM
প্লাস্টিকের ড্রামের ওপর লোহার ফ্রেম দিয়ে তৈরি সেতুটি শনিবার সন্ধ্যায় সবার জন্য খুলে দেওয়া হয়। এতে জেলার আলফাডাঙ্গা উপজেলার টগরবন্ধ ইউনিয়নের প্রায় ১২ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
আলফাডাঙ্গা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান একেএম জাহিদ হাসান বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, নদীবেষ্টিত ওই এলাকার সাতটি গ্রামের মানুষ স্বাভাবিক জীবনযাত্রা থেকে পিছিয়ে ছিল। তাদের দাবি ছিল একটি সেতু। কিন্তু সরকারি কোনো সহায়তা পাওয়া যায়নি। পরে এলাকাবাসী নিজেদের চেষ্টায় তৈরি করেন তাদের স্বপ্নের এই সেতু।
টগরবন্ধ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ইমাম হাচান শিপন বলেন, সেতুটি উন্মুক্ত করে দেওয়ার খবরে এলাকাবাসীর মাঝে আনন্দের জোয়ার বইছে। ওই এলাকার মানুষ আগে খেয়ানৌকায় পারপার হতেন।
অনেক সময় পানি বেড়ে গেলে, স্রোত হলে দুর্ভোগ পোহাতে হত। এখন তাদের সেই আজন্ম দুর্ভোগ লাঘব হবে।
কামারগ্রাম আদর্শ ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কাশেম জানান, টগরবন্দ ইউনিয়নের টিটা, টিটা-পানাইল, রায়ের পানাইল, শিকরপুর, ইকড়াইল ও কুমুরতিয়া গ্রামের চারপাশে রয়েছে এই মধুমতী নদী। গ্রামগুলো মূল ভূখণ্ড থেকে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন। ওই ছয় গ্রামে প্রায় ১২ হাজার লোকের বসবাস। বংশপরম্পরায় তাদের বছরের পর বছর নৌকায় পারাপার হতে হয়। অনেক সময় বৈরী আবহাওয়ায় রুদ্ধ হয়ে যায় যাতায়াতের এ মাধ্যমও। এতে অনেক সময় মুমূর্ষ রোগী কিংবা জরুরি কাজে অন্য কোথাও যাওয়া যেতে হলে চরম ভোগান্তিতে পড়তে হত।
তিনি বলেন, মানুষ মনোবল আর ইচ্ছাশক্তি থাকলে অনেক অসম্ভবকে বাস্তবে রূপ দিতে পারে। তার প্রমাণ দিয়েছেন টগরবন্ধের মানুষ। মধুমতী নদীর ওপর গ্রামবাসীর উদ্যোগে যে ভাসমান সেতু তৈরি হয়েছে তা প্রশংসার দাবি রাখে।