নভেল করোনাভাইরাস মোকাবেলায় ঘরবন্দি দিনগুলোতে শ্রমজীবীর রোজগার বন্ধ থাকায় পাশে দাঁড়িয়েছে সরকার।
Published : 29 Mar 2020, 03:49 PM
রোববার ভোলা শহরসহ জেলার সাতটি উপজেলা ও পাঁচটি পৌরসভার ১০ হাজার শ্রমজীবী পরিবারের মাঝে এ খাদ্যসামগ্রী বিতরণ শুরু হয়।
ভোলায় তালিকায় থাকা প্রতিটি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু ও দুই কেজি করে ডাল দেওয়া হচ্ছে।
দুপুরে জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক ভোলা শহরের বাপ্তা ইউনিয়নের শ্রমজীবী পরিবারগুলোর বাড়ি গিয়ে এসব খাদ্যসামগ্রী পৌঁছে দেন।
এছাড়াও কয়েকটি দরিদ্র পরিবারকে নগদ অর্থও দেন তিনি।
জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাসুদ আলম ছিদ্দিক বলেন, “প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা অনুসারে ভোলার প্রায় ১০ হাজার শ্রমজীবী মানুষের তালিকা করা হয়েছে। প্রাথমিকভাবে ১০ কেজি চাল, পাঁচ কেজি আলু ও দুই কেজি করে ডাল বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দিচ্ছি।”
পর্যায়ক্রমে সব শ্রমজীবী মানুষকে আরো খাদ্য সহায়তা দেওয়া হবে বলেও জানান তিনি।
জেলা প্রশাসক আরো জানান, ভোলায় কোনো করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী পাওয়া যায়নি। কেউ আইসোলেশনেও নেই।
ভোলায় হোম কোয়ারেন্টিনে রাখা হয় ৪১৯ জনকে; যাদের ১৮৯ জন শঙ্কামুক্ত হওয়ায় রিলিজ পেয়েছেন। অন্যরা কয়েক দিনের মধ্যে ছাড়া পাবেন বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও ঢাকা থেকে আগতদেরকেও ১৪ দিন হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার জন্য বলা হয়েছে বলে জানানো হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ভোলার সব হাসপাতালে তুলানামূলক জ্বর, সর্দি ও কাশির রোগী কম।
খাবার বিলি করতে গিয়ে একটি পরিবারকে সরকারি ঘর দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।