হোম
+
টঙ্গীর তুরাগ নদীর তীরে ইজতেমার দ্বিতীয় পর্ব শুরু হচ্ছে শুক্রবার। এ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার বয়ান শুরু হবে। এরইমধ্যে দেশ-বিদেশ থেকে লোকজন ময়দানে আসতে শুরু করেছেন।
Published : 16 Jan 2020, 10:12 AM
রোববার আখেরি মোনাজের মধ্য দিয়ে শেষ হবে এবারের বিশ্বইজতেমা। দ্বিতীয় পর্বে মাওলানা সাদের অনুসারীরা অংশ নিবেন।
এর আগে সোমবার রাতে জেলা প্রসাশনের মাধ্যমে মাওলানা যোবায়ের অনুসারীদের কাছ থেকে মাওলানা সাদ অনুসারীদের কাছে আনুষ্ঠানিকভাবে মাঠের সকল দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হয়। এ সময় সিটি কর্পোরেশন, জেলা প্রসাশন, পুলিশ প্রসাশন ও ইজতেমার দুই পক্ষের মুরুব্বীরা উপস্থিত ছিলেন।
কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, প্রথম পর্বের মত দ্বিতীয় পর্বেও ইজতেমায় যোগ দিতে আসা লোকজনের যাতায়াতের সুবিধার জন্য বিশেষ ট্রেন ও বাস সার্ভিস থাকছে। নিরাপত্তার জন্য পুরো ময়দান সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, তুরাগ পাড়ের প্রায় ১৬৫ একরেরও বেশি এলাকায় প্যান্ডেল তৈরি এবং দেশ বিদেশ থেকে আসা লোকজনদের ইবাদত-বন্দেগির জন্য মূল সামিয়ানা প্রস্তুত করা হয়েছে। এছাড়া সিটি কর্পোরেশনের পাশাপাশি সাদ অনুসারীরাও অংশ নিয়েছেন মাঠ প্রস্তুতের জন্য।
বিদেশিদের জন্য থাকছে আগের আলাদা স্বাস্থ্য ক্যাম্পও। বিদেশি নিবাসে গ্যাস সংযোগ ও বিদ্যুৎ সরবরাহের ব্যবস্থা প্রথম পর্বের মত এ পর্বেও থাকছে।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর আলম মঙ্গলবার রাতে মাঠ পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের বলেন, ইজতেমায় আসা লোকজনের সুবিধার জন্য ১৩টি উৎপাদক নলকূপের মাধ্যমে প্রায় সাড়ে তিন কোটি গ্যালন খাবার, ওজু ও গোসলের পানি সরবরাহ করা হবে। এছাড়া আট হাজারের বেশি লোক একসঙ্গে টয়লেট ব্যবহার করতে পারবে।
এদিকে ইজতেমায় আগতদের সুবিধার জন্য ময়দানের পাশে স্থাপন করা হয়েছে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প। এসব মেডিকেল ক্যাম্প থেকে ইজতেমায় আগত মুসুল্লিদের স্বাস্থ্য সেবা ও প্রয়োজনীয় ওষুধ দেওয়া হচ্ছে বিনামূল্যে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ মো. আনোয়ার হোসন বলেন, ইজতেমায় সার্বিকভাবে সফল ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য গত পর্বের তুলনায় এ পর্বে নিরাপত্তা ব্যবস্থা বাড়ানো হয়েছে।
“খিত্তায় খিত্তায় সাদা পোশাকের পুলিশ মোতায়েনসহ পুরো ময়দান সিসিটিভি ও ওয়াচ টাওয়ারের মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হচ্ছে। ইজতেমার প্রবেশ পথগুলোতে চেকপোস্ট বসানো হয়েছে।”
