শীতে পানি কমে যাওয়ায় মধুমতি নদীর পাঁচ কিলোমিটার উচু পাড়ে ধস দেখা দেওয়ায় হুমকিতে পড়েছে গোপালগঞ্জ সদরের কয়েকটি গ্রাম।
Published : 05 Dec 2019, 12:34 PM
সদর উপজেলার উরফি ইউনিয়নের উরফিসহ আশপাশের কয়েকটি গ্রামে গত কয়েক ধরে এ চলছে। এরই মধ্যে মানিকহার-হরিদাসপুর সড়কের ২শ’ মিটার ভেঙে গেছে।
মানিকহার ব্রিজ, ফসলের জমি, পাকা সড়ক, মাদ্রাসা, গাছপালা ও নদীতীরের বসতবাড়ি ভাঙনের হুমকিতে পড়েছে বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্টরা।
ভাঙন এলাকা পরিদর্শন করে গোপালগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী বিশ্বজিৎ বৈদ্য বলেন, “মানিহার ব্রিজ ও সড়ক রক্ষায় ভাঙন কবলিত ১৪০ মিটার এলাকায় রিজার্ভ ব্লক ফেলছি।
“এরপর বালুভর্তি জিওব্যাগ ফেলা হবে।”
এছাড়া নদী ভাঙন থেকে সম্পদ রক্ষায় ভাঙন এলাকার ৪৪০ মিটারে স্থায়ী নদী ভাঙন প্রতিরোধ প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।
গত মঙ্গলবার সরজমিনে দেখা গেছে, মানিকহার ব্রিজ এলাকা থেকে উরফি চরপাড়া হয়ে ডুমদিয়া পর্যন্ত প্রায় পাঁচ কিলোমিটারে নদী ভাঙন চলছে। ওই এলাকার মাটির রাস্তা, পাকা রাস্তা, রান্নাঘর,বসতবাড়ি, মাদ্রাসার জায়গা, ইটের রাস্তা নদীতে বিলীন হয়েছে।
ব্রিজের পশ্চিম পাড় থেকে উত্তর দিকে পাকা সড়কের ২শ’ মিটার ভেঙেছে। কোথাও কোথাও বসত বাড়ি থেকে মাত্র ৫/১০ ফুট দূরে রয়েছে নদী।
এলাকার বাসিন্দারা জানান, কখন বাড়িঘর নদীতে ভেঙে যায় এ আতঙ্কে কাটছে তাদের দিন রাত।
ডুমদিয়া মধ্যপাড়া গ্রামের নদী ভাঙনের শিকার আমদ আলী সরদার বলেন, মানিকহার ব্রিজ থেকে হরিদাসপুর পর্যন্ত উরফি, উরফি চরপাড়া, মধ্য ডুমদিয়া, ডুমদিয়া দক্ষিণপাড়া গ্রামে ১০ বছর ধরে ভাঙন অব্যাহত রয়েছে।
“ঘুর্ণিঝড় বুলবুলের পর এখানে ফের ভাঙন শুরু হয়েছে। আমার রান্নাঘর ভেঙেছে। বসতঘর ভাঙনের হুমকিতে রয়েছে। এখন নদীর পানি কমছে, সেই সাথে বেড়েছে নদী ভাঙন।”
গত ১০ দিন ধরে ভাঙন তীব্র হয়েছে বলে জানান তিনি।
“গেল বর্ষা মৌসুমে ভাঙন বেশি হয়েছে। এ এলাকার মানুষের চলাচলের পাকা রাস্তা, বেশ কিছু বাড়ি, একটি ইটের রাস্তা, মাদ্রাসার জায়গা নদীতে বিলীন হয়েছে।
“এখন শীতের মধ্যে নদীর পশ্চিম পাড়ের ফের ভাঙন দেখা দিয়েছে। সমানে সব ভাঙছে।”
উরফি গ্রামের শাহিদ মৃধা বলেন, গেল বর্ষায় ভাঙনের পর দায়সারাভাবে কিছু বালুর বস্তা ফেলা হয়েছিল। তাতে কোনো কাজ হয়নি।
“নতুন করে ভাঙনে এখন বসতবড়ি যায় যায় অবস্থা।”
“শীতে ফের ভাঙন দেখা দেওয়ায় মধুমতি নদীর মানিকহার ব্রিজটি হুমকির মুখে পড়েছে।”
দ্রুত স্থায়ী ব্যবস্থা না নেওয়া হলে মানিকহার সেতু ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে তার আশঙ্কা।