পেঁয়াজের লাগামহীন দাম বৃদ্ধির পেছনে সরকারের ভুল থাকতে পারে বলে মনে করেন কৃষিমন্ত্রী মো. আব্দুর রাজ্জাক।
Published : 28 Nov 2019, 08:38 PM
বৃহস্পতিবার গাজীপুরে ধান গবেষণা ইনস্টিটিউটে এক কর্মশালায় যোগ দিয়ে আব্দুর রাজ্জাক বলেন, “ভারত যে এভাবে পেঁয়াজের উপর নিষেধাজ্ঞা দেবে এটা আমরা বুঝতে পারিনি। এখানে হয়ত আমাদের ভুল থাকতে পারে।
“আগেই আমাদের এসেসমেন্ট করা দরকার ছিল, জরিপ করা দরকার ছিল যে দেশে কত টন পেঁয়াজ উৎপাদন হয়েছে। কতটা আমরা পেঁয়াজ আমদানি করব “
পেঁয়াজ আমদানিটা একটা দেশের উপর নির্ভর না করে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানির জন্য যোগাযোগ করা দরকার ছিল এবং সেটি হয়নি বলে জানান রাজ্জাক।
তিনি বলেন, গত বছর বৃষ্টিপাতে পেঁয়াজ নষ্ট হয়ে যায়। কৃষকরা পেঁয়াজ ঘরে মজুত রাখতে পারেনি। এতে দেশে পেঁয়াজের ঘাটতি দেখা দিয়েছে।
গত সেপ্টেম্বরে ভারতে পেঁয়াজের দাম বেড়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে রপ্তানি বন্ধ করে দেওয়ায় বাংলাদেশে পেঁয়াজের দাম বাড়তে থাকে। ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের পর কোথাও কোথাও প্রতি কেজি পেঁয়াজের দাম ৩০০ টাকাতেও উঠে যায়।
পেঁয়াজের অস্বাভাবিক মূল্য বৃদ্ধির মধ্যে বিভিন্ন দেশ থেকে পেঁয়াজ আমদানি করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এমন কি বিমানে করেও পেঁয়াজ আমদানি করা হয়। এসব আমদানি করা পেঁয়াজ টিসিবির মাধ্যমে ন্যায্যমূল্যে ৪৫ টাকা কেজি দরে বিক্রি শুরু করে সরকার।
আমদানির পরও পেঁয়াজের দাম না কমার বিষয়ে কৃষিমন্ত্রী বলেন, “আমাদের প্রয়োজন লক্ষ টন, সেখানে আমদানি হয় দুই হাজার টন, পাঁচশ টন, তিনশ টন।
“একটা প্লেনে আর কতটা পেঁয়াজ আমদানি করা যায়। দেশে পেঁয়াজ প্রয়োজন ২৫-২৬ লক্ষ টন, সেখানে পাঁচশ টন, তিনশ টন।”
পুলিশ-র্যাব সেনা দিয়ে পণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণ করা যায় না বলে মনে করেন মন্ত্রী।