গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় নার্স মুক্তি রানী দাস (৩৬) হত্যা মামলার আসামিরা জামিনে বের হয়ে বাদীকে মামলা তুলে না দিলে হত্যার হুমকি দিচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
Published : 24 Aug 2019, 12:16 AM
মুক্তি কালীগঞ্জ উপজেলার উলুখোলা এলাকার গোপালচন্দ্র দাসের মেয়ে। কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের স্টাফ নার্স ছিলেন তিনি।
মুক্তির বাবা গোপালচন্দ্র দাস অভিযোগ করেন, “গত ২ মার্চ পূর্বপরিকল্পিতভাবে তাকে হত্যার পর লাশ ঘরের ফ্যানের সঙ্গে ঝুলিয়ে রেখে আত্মহত্যার নাটক সাজান তার স্বামী-শ্বাশুড়ি।
“মুক্তির শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাতের চিহ্ন দেখে এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। তার স্বামী রনি দাস গ্রেপ্তার হলেও আদালত তাকে জামিন দেয়। এরপর থেকে রনি আমাকে মামলা প্রত্যাহরের জন্য চাপ ও হত্যার হুমকি দিচ্ছে।”
রনি দাস অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
তিনি বলেন, “মুক্তি আত্মহত্যা করেছেন। তাকে হত্যা করা হয়নি। আর আমাকে ও আমার পরিবারকে হয়রানি করতেই হত্যা মামলা করা হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার বাদীসহ অন্যদের হত্যার হুমকি সঠিক নয়। বানোয়াট।”
এদিকে মামলার তদন্তে গতি নেই বলে অভিযোগ করেছেন মুক্তির ছোট ভাই অনন্তকৃষ্ণ দাস।
তবে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গাজীপুর পিবিআই পরিদর্শক মো. মাহমুদুল হাসান বলেন, “মামলাটির তদন্ত চলছে। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত এ বিষয়ে কোনো কথা বলা যাবে না।”
মামলার আসামিরা জামিনে আছেন বলে তিনি জানান।