ফেনীর মাদ্রাসা ছাত্রী নুসরাত জাহান রাফিকে হত্যার পরিকল্পনা অনুযায়ী মামলার আসামি মহিউদ্দিন শাকিল মাদ্রাসার গেট পাহারার দায়িত্বে ছিলেন বলে পিবিআই জানিয়েছে।
Published : 26 Apr 2019, 06:39 PM
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফেনীর পিবিআইর পরিদর্শক মো. শাহ আলম বলেন, ঘটনার দিন মাদ্রাসার গেট পাহারায় থাকা মহিউদ্দিন শাকিলকে শুক্রবার বিকালে আদালতের নির্দেশে কারাগারে পাঠানো হয়।
এর আগে বৃহস্পতিবার বিকেলে ফেনী শহরের পূর্ব উকিলপাড়া এলাকার মুন্সী পুকুরপাড় থেকে তাকে আটক করে পিবিআই।
শাকিল সোনাগাজী উপজেলার উত্তর চরচান্দিয়া গ্রামের রুহুল আমিনের ছেলে।
পরিদর্শক শাহ আলম বলেন, “রিমান্ডে থাকা আসামি ও ১৬৪ ধারায় দেওয়া কয়েকজন আসামির জবানবন্দি অনুযায়ী, ঘটনার দিন মাদরাসার গেট পাহারায় ছিলেন মহিউদ্দিন শাকিল। ঘটনার পর থেকে শাকিল পলাতক ছিলেন।”
ফেনীর সোনাগাজী ইসলামিয়া ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী নুসরাত ছিলেন ওই মাদ্রাসার আলিম পরীক্ষার্থী। গত ৬ এপ্রিল আরবি প্রথম পত্র পরীক্ষা দিতে গেলে তার গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন ধরিয়ে দেয় কয়েকজন। এ ঘটনায় দগ্ধ নুসরাত ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ১০ এপ্রিল মারা যান।
মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সিরাজ-উদ-দৌলার বিরুদ্ধে নুসরাতের পরিবারের দায়ের করা মামলা তুলে না নেওয়ায় অধ্যক্ষর লোকজন তার গায় আগুন দেয় বলে পরিবারের অভিযোগ।
এ ঘটনায় মামলায় অধ্যক্ষ ও মাদ্রাসা কমিটির সদস্যসহ আটজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাত আরও কয়েকজনকে আসামি করে নুসরাতে ভাই মাহমুদুল হাসান নোমান ৮ এপ্রিল সোনাগাজী থানায় মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার রাত পর্যন্ত এ মামলায় এজহারভুক্ত আটজনসহ ২১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের মধ্যে আটজন হত্যার দায় স্বীকার করে আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছেন।