ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলায় সীমান্তে ভারতীয় সীমান্তরক্ষী বাহিনী-বিএসএফের গুলিতে এক বাংলাদেশি তরুণ নিহত হয়েছেন। এছাড়া বিএসএফ আরেক তরুণকে ধরে নিয়ে গেছে।
Published : 22 Apr 2019, 07:17 PM
সোমবার ভোরে দনগাঁও এলাকায় এ ঘটনা ঘটে বলে ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এস এন এম সামিউন নবী চৌধুরী জানান।
নিহত সুমন (২২) হরিপুর উপজেলার ডাঙ্গীপাড়ার সফিরুল ইসলামের ছেলে। আটক মাসুদ রানা (২২) একই এলাকার এনাদুলের ছেলে।
এলাকাবাসীর বরাতে সামিউন নবী চৌধুরী বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ভোর ৪টার দিকে ১০-১২ জনের একদল বাংলাদেশি দনগাঁও সীমান্তের ৩৫৭ নম্বর পিলার এলাকা দিয়ে ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা করলে ভারতের বসতপুর বিএসএফ ক্যাম্পের টহলরত সদস্যরা তাদের ধাওয়া দেয়।
“এক পর্যায়ে বিএসএসফ সদস্যরা তাদের লক্ষ্য করে গুলি করলে সুমন গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এছাড়া বিএসএফ সদস্যরা ধাওয়া দিয়ে মাসুদ রানাকে আটক করে তাদের ক্যাম্পে নিয়ে যায়।”
তাদের সঙ্গে থাকা অন্যরা পালিয়ে যায় বলে তিনি জানান।
কর্নেল সামিউন আরও জানান, নিহত সুমনের লাশ সীমান্তে শূন্যরেখার এপারে পড়ে ছিল। দুপুরের দিকে বিজিবি লাশ উদ্ধার করেছে। পরে লাশটি হরিপুর থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বিজিবি অধিনায়ক সামিউন নবী বলেন, দুপুর ১২টার দিকে দনগাঁও সীমান্তে বিজিবি ও বিএসএফের মধ্যে পতাকা বৈঠক হয়েছে। বৈঠকে বিজিবির পক্ষ থেকে এ ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ এবং আটক মাসুদ রানাকে ফেরতের দাবি জানানো হয় বিজিবির পক্ষ থেকে।
“আটক ব্যক্তিকে তারা ভারতীয় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে বলে বৈঠকে বিএসএফের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।”
বৈঠকে বিজিবির পক্ষে নেতৃত্ব দেন এসএনএম সামিউন নবী চৌধুরী এবং বিএসএফের পক্ষে নেতৃত্ব দেন ১৪৬ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ড্যান্ট এসএইচএইচ হিনজালাল সীমিত।