নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে এক ছাত্রলীগ নেতাকে কুপিয়ে ও পায়ের রগ কেটে হত্যা করেছে প্রতিপক্ষের লোকজন।
Published : 14 Mar 2019, 08:11 PM
বুধবার মধ্যরাতে উপজেলার ভোলাব ইউনিয়নের টাওড়া এলাকায় এই ঘটনা ঘটে।
নিহত সোহেল মিয়া (২৭) ভোলাব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের প্রচার সম্পাদক এবং ওই এলাকার মজিবুর রহমানের ছেলে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য পুলিশ নিহতের চার বন্ধুকে আটক করেছে।
নিহতের পরিবারের বরাত দিয়ে রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, বুধবার রাত ৯টার দিকে সোহেল মিয়া ও তার বন্ধু সিরাজ মিয়া ভোলাবো ইউনিয়নের টাওড়া বাজার থেকে বাড়িতে ফিরছিলেন।
“পথে অতর্কিত ১৫/২০ জনের একদল যুবক হামলা চালিয়ে সোহেল মিয়াকে তুলে বিলের দিকে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সোহেল মিয়াকে এলোপাথাড়ি কুপিয়ে ও দুই পায়ের রগ কেটে দিয়ে রাস্তার পাশে ফেলে রেখে যায়।”
ওসি বলেন, তার আর্তচিৎকারে পরিবারের লোকজন গিয়ে গুরুতর অবস্থায় সোহেল মিয়াকে উদ্ধার করে প্রথমে নরসিংদী সদর হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে নিয়ে যায়।
“কিন্তু হাসপাতালে নেওয়ার পথে রাত সাড়ে ১২টার দিকে সোহেল মিয়ার মৃত্যু হয়।”
ওসি মাহমুদুল হাসানেআরও বলেন, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এই হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে থাকতে পারে। লাশ ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে।
এই ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য সোহেলের বন্ধু সিরাজ, মুজিবুর, হাসান ও ইউসুফ সন্দেহজনকভাবে আটক করা হয়েছে। তাদেরকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এই ঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।
তিনি বলেন, “দুই সপ্তাহ আগে সোহেলের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজি ও নারী নির্যাতনের অভিযোগে মামলা হয়েছিল। হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে সেই ঘটনার যোগসূত্র আছে কিনা সেটা তদন্ত করছে পুলিশ।”
এদিকে সোহেলের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাড়িতে স্বজনের আহাজারিতে পরিবেশ ভারী হয়ে উঠেছে।