শেরপুরের চরাঞ্চলে এ বছর মরিচের ফলন ভাল না হয়ায় এবং বাজারমূল্য কম থাকায় ক্ষতির মুখে পড়েছেন কৃষকেরা।
Published : 24 Feb 2019, 01:03 PM
গত বছর মরিচের ভাল ফলন হওয়ায় লাভের আশায় অনেক কৃষক মরিচের আবাদ করেছিলেন।কিন্তু খরচ তুলতে না পেরে তাদের চোখেমুখে এখন শুধুই হতাশা।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মো. আশরাফ উদ্দিন বলছেন, জেলায় এ বছর এক হাজার ২৩০ হেক্টর জমিতে মরিচ আবাদের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও লক্ষ্যমাত্রা অর্জন হয়েছে এক হাজার ৭০ হেক্টর জমিতে।
সেই হিসাব অনুযায়ী এবার লক্ষ্যমাত্রার চেয়ে ১৬০ হেক্টর কম জমিতে কম আবাদ হয়েছে।
চরাঞ্চলের বিভিন্ন এলাকায় সরেজমিনে গিয়ে চাষি, কৃষি নারী ও শ্রমিকদের কাঁচা মরিচ তোলার কাজে ব্যস্ত থাকতে দেখা গেলেও ছিল না প্রাণচাঞ্চল্।
এ বছর মরিচ আবাদ করে লোকসানের মুখে পড়েছেন বলে জানালেন শেরপুর সদর উপজেলার পয়স্তির চর গ্রামের চাষি নজরুল ইসলাম।
একই কথা জানালেন ওই এলাকার চাষি ইজামুল হক। তিনি বলেন,“গত বছর বন্যার কারণে পলি মাটি পড়ায় মরিচের আবাদ ভাল হয়েছিল; দামও ভাল ছিল। কিন্তু এ বছর মরিচসহ কোনো ফসলই ভাল হয়নি।”
মরিচের আবাদের জন্য এবার তাদের যে টাকা খরচ হয়েছে, তার অর্ধেক টাকাও উঠবে না বলেও আশঙ্কা তার।
তিনি বলেন,“গত বছর মরিচের ফলন ভালও দাম ভাল থাকলেও এবার লোকসান। বাজারে এখন এক মণ মরিচের দাম ৮০০ থেকে ৯০০টাকা। অথচ মরিচ তোলার শ্রমিকেই মজুরি দিতে হয় ১৫০ টাকা। এভাবে খরচের টাকা উঠবে না।”
মরিচ তোলার কৃষি শ্রমিক সালেহা ও মালেকা আক্ষেপ করে বলেন, মরিচের দাম নাই। তাই আমাদের মজুরিও কম। ১৫০ টাকা করে মজুরি। যদি মরিচের দাম ভাল থাকতো তবে তারাও দাম পেতেন।
তবে মরিচের ফলন ‘সর্বোপরি ভাল’ বলে জানিয়ে কৃষি কর্মকর্তা আশরাফ বলছেন, “মরিচ কৃষকের জন্য লাভজনক ফসল।তারা হাইব্রিড জাতীয় মরিচ আবাদ করে। ফলনও বেশি পায়, লাভবানও হয়। দুই একজন কৃষক তাদের পরিচর্যার কারণে হয়তো ফলন কম পেতে পারেন।”
তবে সমস্যা সমাধানে রোগ আর পোকার আক্রমণ থেকে মরিচ রক্ষায় কৃষি বিভাগের কর্মকর্তারা কৃষকেদের প্রয়োজনীয় পরামর্শ দিচ্ছেন বলে জানান তিনি।