নাব্যতা সঙ্কটে শিমুলিয়া-কাঁঠালবাড়ি নৌরুটে ফেরি সার্ভিস বন্ধ হয়ে গেছে।
Published : 26 Aug 2018, 12:00 AM
শনিবার রাত সাড়ে ১০টায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ করে দেওয়া হয়। ভোর ৪টার পর দিনের আলো ফুটলে তখন আবার সীমিত আকারে ফেরি সার্ভিস সচল করা হবে বলে জানান বিআইডব্লিউটিসির এজিএম খন্দকার শাহ খালেদ নেওয়াজ।
নাব্যতা সঙ্কটে ঈদের আগে টানা নয় দিন ফেরি সার্ভিস ব্যাহত হওয়ার পর ঈদের দুই দিন আগে সার্ভিসে কিছুটা সচলতা এসেছেলি। এরপর ঈদের একদিন পর শুক্রবার আবার নাব্যতা সঙ্কটে রো রো এবং ডাম্প ফেরি চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
এজিএম শাহ খালেদ বলেন, নাব্যতা সঙ্কটে দুর্ঘটনা এড়াতে ফেরি সার্ভিস বন্ধ রাখতে হয়েছে। চ্যানেলের পানি একেবারেই কমে গেছে। এছাড়া চ্যানেলটি এখন খুবই সরু। ৮/৯টি ড্রেজার রয়েছে এখানে।
“তাই রাত সাড়ে ১০ টায় ফেরি সার্ভিস বন্ধ করা হয়েছে। ভোরে আবার সীমিত আকারে সার্ভিস সচল হবে।”
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার এই রুটের ৩টি স্থানে ৬টি ফেরি আটকে যায়। শনিবার ভোরে আরও খারাপ অবস্থা দেখা দেয়। বহরে বর্তমানে ১৮টি ফেরি রয়েছে। ৪টি ফেরি পাটুরিয়ায় পাঠানো হয়েছে। রো রো ফেরিসহ ১০টি ফেরি অলস বসে আছে।
এজিএম বলেন, নাব্যতা সঙ্কটে ফেরি সচল রাখা কঠিন হলেও বিড়ম্বনা হ্রাস করতে সীমিত আকারে ফেরি সচল রাখা হয়েছে। তবে অবস্থা ক্রমেই খারাপের দিকে। দুপুরে ছোট আকারের ‘ফেরি কুমিল্লা’ নদীর তলদেশে ধাক্কা খায়। শনিবার ঢাকামুখী মানুষের চাপ বেড়েছে। দক্ষিণাঞ্চলের ২১ জেলার মানুষ ঈদ শেষে ফিরতে শুরু করেছে। কিন্তু ফিরতি পথেও সৃষ্টি হচ্ছে দুর্ভোগ। ফলে আবার কর্মস্থলে ফেরার সময়ও মানুষ পড়ছে দুর্ভোগে।
বিআইডব্লিইটিএ ড্রেজিংয়ের দায়িত্বে রয়েছে। তারা ড্রেজিং করছে। এদিকে এখনও ফেরি চলছে ওয়ানওয়েতে; যার দরুণ স্বাভাবিকের চেয়ে সময় লাগছে বেশি, বলেন তিনি।
এদিকে, ঈদের ছুটি শেষে কর্মস্থলে ফিরতে শুরু করেছে মানুষ। শনিবার বিকালে শিমুলিয়া ঘাটে ঢাকামুখী মানুষের এক রকম স্রোত নামে। নাব্যতা সঙ্কটের কারণে ফেরি চলাচল ব্যাহত হওয়ায় দুর্ভোগ বেড়েছে।