বগুড়ায় ‘পরকীয়ার’ সম্পর্কের জেরে মেয়েসহ সৌদি আরব প্রবাসীর স্ত্রী খুন হয়েছেন বলে পুলিশের ভাষ্য।
Published : 21 Aug 2018, 11:04 PM
হত্যাকাণ্ডের অভিযোগে এক তরুণকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
মঙ্গলবার সকালে বগুড়া শহরের বড়গোলা টিনপট্টি এলাকার একটি বাসা থেকে রুবি বেগম (২৮) ও তার মেয়ে সুরাইয়ার (৬) রক্তাক্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। রুবির স্বামী ইউসুফ শেখ সৌদি আরব প্রবাসী।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগে ইউসুফ শেখের বন্ধু মুকুলের ছোটভাই মোবারক হোসেন বকুলকে (১৯) গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বগড়ার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সোনাতন চক্রবর্তী স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, স্বামী সৌদি আরব থাকার সুযোগে রুবি বেগমের সঙ্গে বকুলের পরকীয়া প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সোমবার দুপুরে রুবি বেগমের সঙ্গে বিসিক এলাকায় বকুলের দেখা হয় এবং তখন রুবি রাত ১১টার দিকে বকুলকে টিনপট্টি তেঁতুলতলায় তার বাড়ি যেতে বলেন।
ওই বাড়িতে রুবি বেগমের শাশুড়ি এবং দুই ভাশুর থাকেন। দুই ভাশুরই নৈশ প্রহরী হওয়ায় রাতে তারা কেউ বাসায় ছিলেন না বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, রাতে বকুল পিছনের দরজা দিয়ে তাদের ঘরে ঢোকেন। তখন রুবি মেয়ে সুরাইয়া ঘুমিয়ে ছিল। সেখানে রুবি এক পর্যায়ে বকুলকে বিয়ের জন্য চাপ দিলে তাদের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয় এবং এক পর্যায়ে বকুল চাকু দিয়ে রুবি বেগমের বুকে আঘাত করেন। তার চিৎকারে শিশু সুরাইয়া জেগে উঠলে বকুল তার গলা চেপে খুন করেন। এরপর পিছনের দরজা দিয়ে পালিয়ে বাড়ি চলে যান।
বকুল বগুড়া শহরের ফুলবাড়ি উত্তরপাড়ার মৃত আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে।
মঙ্গলাবর দুপুরে সেখান থেকেই পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করেছে। রুবি বেগমের মোবাইল ফোনের পুড়িয়ে ফেলা অংশবিশেষ উদ্ধার পুলিশ করেছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
সোমবার রাত ১১টা থেকে ভোর পাঁচটার মধ্যে এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে পুলিশ জানিয়েছে।