ধানের শীষের প্রচারকালে আটক দুই কর্মীকে মুক্তির দাবিতে সিলেট সিটি করপোরেশনে বিএনপির মেয়র প্রার্থী আরিফুল হক চৌধুরী মহানগর উপ-পুলিশ কমিশনার কার্যালয়ের সামনে আড়াই ঘণ্টা অবস্থান করেছেন।
Published : 21 Jul 2018, 06:29 PM
আটক কর্মীদের মুক্তির দাবিতে শনিবার দুপুর দেড়টা থেকে বিকাল ৪টা পর্যন্ত দলের অন্য নেতাকর্মীদের নিয়ে তিনি এ কর্মসূচি পালন করেন।
সিলেট মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনার (দক্ষিণ) আজবাহার আলী শেখ জানান, ওসমানীনগর থানার একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি হিসেবে নগরীর দক্ষিণ সুরমার ঝালোপাড়া থেকে রাসেল আহমদ এবং সুমন আহমদ নামে দুই ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। তাদের আদালতে পাঠানো হয়েছে।
এ ব্যাপারে আরিফুল হক চৌধুরী বলেন, “পুলিশ সিলেটের রাজনৈতিক সম্প্রীতি নষ্ট করছে। কোনো মামলা-ওয়ারেন্ট ছাড়াই আমার কর্মীদের ধরপাকড় করছে। সিলেটে এই ধরনের কর্মকাণ্ড সহ্য করা হবে না। আমরা এমন ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে তীব্র আন্দোলন গড়ে তুলব।”
এর আগে গত ১২ জুলাই মধ্যরাতে এক কর্মীকে আটকের অভিযোগে নগরীর বন্দরবাজার পুলিশ ফাঁড়ির সামনে অবস্থান নিয়েছিলেন সিলেট আরিফুল হক চৌধুরী। প্রায় ৪০ মিনিট অবস্থানের পর সে রাতে আটক কর্মীকে ছাড়িয়ে আনতে সক্ষম হন তিনি।
কিন্তু শনিবার আবার মহানগর পুলিশের উপ-কমিশনারের (দক্ষিণ) কার্যালয়ের সামনে দলবল নিয়ে বসে পড়েন আরিফুল হক।
এবার ব্যর্থ হয়েই ফিরতে হয় আরিফুলকে। গ্রেপ্তার দুই ব্যক্তিকে ছেড়ে দেয়নি পুলিশ। তাদের সুনির্দিষ্ট মামলার ভিত্তিতেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে পুলিশের ভাষ্য।
ফলে বেলা সাড়ে ৪টার দিকে অবস্থান তুলে নিয়ে নেতৃবৃন্দদের নিয়ে বাসায় ফিরে যান আরিফুল হক। আদালতের মাধ্যমে কর্মীদের ছাড়িয়ে আনবেন বলেও এসময় ঘোষণা দেন তিনি।
পুলিশ কার্যালয়ের সামনে আরিফুল হকের এভাবে বসে পড়াকে ‘নাটক’ আখ্যায়িত করে সিসিক নির্বাচনে আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী বদরউদ্দিন আহমদ কামরান বলেন, “তিনি জনগনের সহানুভুতি আদায়ের জন্য একের পর এক নাটক করে চলছেন। আমি তাকে নাটক করা বাদ দিয়ে জনগণের মন জয়ের চেষ্টায় মনোনিবেশ করার আহ্বান জানাব।”
আগামী ৩০ জুলাই সিলেট, রাজশাহী ও বরিশাল সিটি করপোরেশনে নির্বাচন হওয়ার কথা রয়েছে।