রাজস্ব ফাঁকির মামলায় সিলেটের বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি পংকি খানকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।
Published : 25 Apr 2018, 06:14 PM
বুধবার দুপুরে সিলেট মহানগর দায়রা জজ মফিজুর রহমান ভুইয়া তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বলে আদালত পুলিশের সহকারী কমিশনার অমূল্য কুমার চৌধুরী জানান।
তিনি জানান, কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধার আওতায় আনা দামি গাড়ি চোরাইভাবে বিক্রি ও জাল কাগজপত্র তৈরি করে রেজিস্ট্রেশন করে রাজস্ব ফাঁকি দেওয়ার অভিযোগে গত বছর দুর্নীতি দমন কমিশন প্রধান কার্যালয়ের উপ-পরিচালক মো. ফরিদুর রহমান বাদী হয়ে পংকি খানসহ সাত জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
“এ মামলায় বুধবার আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করলে বিচারক তা নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।”
মামলার এজাহার থেকে জানা যায়, লন্ডন প্রবাসী রূপা চৌধুরী কার্নেট ডি প্যাসেজ সুবিধার আওতায় ২০০৭ সালের ১৪ই মার্চ একটি বিলাসবহুল লেক্সাস আর এক্স ৩০০ গাড়ি আনেন। গাড়িটি খালাস হয় ২০১০ সালের ১৮ সেপ্টেম্বর।
“এক বছরের মাথায় গাড়ি ফেরত দেওয়ার কথা থাকলেও রূপা চৌধুরী তা বিশ্বনাথ উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি পংকি খানের কাছে বিক্রি করেন। গাড়িটি পরে ২৯ লাখ টাকা মূল্যে সুনামগঞ্জের মোর্শেদ আলমের কাছে বিক্রি করেন পংকি খান।”
এরপর সিলেট বিআরটিএর মাধ্যমে জাল কাগজপত্র তৈরি করে গাড়িটির রেজিস্ট্রেশন (নম্বর-সিলেট-ঘ-১১-০৩০১) করা হয়। জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ২০১৬ সালের ৬ জুন সুনামগঞ্জের হাজীপাড়া থেকে গাড়িটি জব্দ করে।
বিষয়টি তদন্ত করে এক কোটি ৭৪ লাখ ৯৯ হাজার ১৬৭ টাকা ৬৮ পয়সা রাজস্ব ফাঁকির প্রমাণ পায় দুদক।
মামলার অন্য আসামিরা হলেন সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলার তিলক শাহারপাড়ার ইংল্যান্ড প্রবাসী রূপা চৌধুরী, সুনামগঞ্জ সদরের বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মোরশেদ আলম বেলাল, সুনামগঞ্জ সদরের হাছননগরের রোমান রায়হান ও বিআরটিএ সিলেট সার্কেলের সহকারী পরিচালক মো. এনায়েত হোসেন।