জাফর ইকবালের ওপর হামলার পর থেকে প্রতিবাদে মুখর রয়েছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস।
Published : 07 Mar 2018, 07:30 PM
বুধবার কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং, ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং এবং সফটও্য়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা মৌন মিছিল ও সমাবেশ করেছেন।
সরেজমিনে দেখা যায়, সকাল ১০টায় আইআইসিটি ভবনের সামনে থেকে একটি মৌন মিছিল বের হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় একই জায়গায় গিয়ে সমাবেশে মিলিত হয়।
“জাফর ইকবাল কোনো রাজনৈতিক দলের ব্যক্তি না। তিনি বাংলাদেশের সর্বমহলে একজন গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্ব। তাই আমরা চাই এই বিচারের ক্ষেত্রে গুরুত্ব সেভাবেই দেওয়া হোক।”
বাংলাদেশকে ‘জঙ্গি রাষ্ট্র বানানোর ষড়যন্ত্রের’ অংশ হিসেবে সরকারের মদদে জাফর ইকবালের ওপর হামলা করানো হয়েছে বলে অভিযোগ তোলেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এর প্রতিক্রিয়ায় আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের এ ঘটনার পেছনে বিএনপির ইন্ধনের পাল্টা অভিযোগ তোলেন।
সমাবেশে ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রভাষক রিতেশ্বর তালুকদারে একটি লিখিত বক্তব্য পাঠ করে জাফর ইকবালের ওপর হামলার ঘটনার নিন্দা জানান।
বিগত দিনের প্রতিবাদ কর্মসূচির কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, “সরকার আমাদের আশ্বস্থ করেছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচারের। তাই আমরা বৃহস্পতিবার মৌন মিছিল ও প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কণের মাধ্যমে এই আন্দোলন স্থগিত করব।”
একই দিন শিক্ষক সমিতি গণস্বাক্ষর কর্মসূচির আয়োজন করেছে। এছাড়া বুধবার ও বৃহস্পতিবার কালো ব্যাজ ধারণ করবেন তারা।
বিকালে নাট্য সংগঠন দিক থিয়েটারের আযোজনে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্জুন তলায় পথনাটক ‘আদাব’ প্রদর্শন করে শহরের নাট্য সংগঠন দর্পণ থিয়েটার।
এর আগে মঙ্গলবার জাফর ইকবালের ওপর হামলা ঘটনায় দ্রুত বিচার চেয়ে উপাচার্য অধ্যাপক ফরিদ উদ্দিনের মাধ্যমে একটি স্মারকলিপি আচার্য ও রাষ্ট্রপতি আব্দুল হামিদের কাছে পাঠান এই তিন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা।
গত শনিবার ইলেকট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেকট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ইইই-ফেস্টিভ্যাল-এর সমাপনী অনুষ্ঠানে অধ্যাপক মুহম্মদ জাফর ইকবালের উপর ধারালো অস্ত্র নিয়ে হামলা চালানো হয়।
সেওই সময় সেখান থেকে ফয়জু্ল হাসান ওরফে শফিকুর নামের এক তরুণকে পিটুনি দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করেন উপস্থিত ছাত্র-শিক্ষকরা।
এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে। সন্দেহভাজন হামলাকারী ফয়জুল হাসান ওরফে শফিকুরসহ তার বাবা, মা, চাচা, মামা ও বিশ্বদ্যিালয়ের এক নিরাপত্তাকর্মীকে আটক করা হয়েছে।
প্রতিনিধি/ডিডি/২০১৪ ঘ.