ঢাকার সাভারে বজ্রপাতের সময় ট্রলার থেকে নদীতে পড়ে নিখোঁজ চার জনের লাশ পাওয়া গেছে। নিখোঁজ রয়েছেন আরও একজন।
Published : 23 Aug 2017, 07:19 PM
বুধবার দুপুরে বংশী নদীর সিঙ্গাইর সেতু এলাকা থেকে তাদের লাশ উদ্ধার করা হয় বলে সাভার ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার লিটন আহম্মেদ জানান।
এ নিয়ে বজ্রপাত ও নদীতে পড়ে নিহতের সংখ্যা দাঁড়াল সাতে।
নিহতরা হলেন কুমিল্লা জেলার মোহন লালের ছেলে দিপু লাল (৩২), গাইবান্ধা জেলার রাজু মিয়ার স্ত্রী মাহেলা বেগম (৩৬), লালমনিরহাট জেলার মাদব চন্দ্রের স্ত্রী মিনতী রানী (২৫) ও হোসনে আরা (২৫)।
নিখোঁজ রয়েছেন রেবেকা বেগম (৩৩)।
মঙ্গলবার সকালে ট্রলারে করে ‘মিলন গামের্ন্টস’ ও ‘আক্তার ফার্নিচার’ কারখানার ৩০/৩৫ জন শ্রমিক বংশী নদীর কর্ণপাড়া ঘাট থেকে নদী পার হচ্ছিলেন। পথে বৃষ্টির সময় বজ্রপাত হলে ট্রলারের অনেকে আহত হন। হাসপাতালে নেওয়ার পর তিনজনের মৃত্যু হয়।
ফায়ার সার্ভিস কর্মকর্তা লিটন বলেন, “এ ঘটনায় আতঙ্কিত হয়ে অনেকেই ট্রলার থেকে নদীতে ঝাঁপিয়ে পড়েন। তাদের মধ্যে কেউ কেউ সাঁতরে পাড়ে উঠতে পারলেও পাঁচজনের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।”
খবর পেয়ে মঙ্গলবার রাত ১১টার দিকে বংশী নদীতে এক দফা অভিযান চালানো হলেও তাদের কোনো হদিস মেলেনি। পরে সকালে ঢাকা থেকে ফায়ার সার্ভিসের ডুবুরি দল এবং সাভার ফায়ার সার্ভিসের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান শুরু করে বলে জানান তিনি।
সাভার মডেল থানার ওসি মোহসিনুল কাদির বলেন, এ ঘটনায় মঙ্গলবার রাতেই মিলন গামের্ন্টসের শ্রমিক সোহাগ (২৫) ও আক্তার ফার্নিচারর কারখানার শ্রমিক আবুল হোসেনকে (২৮)সাভার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়া হলে সেখানে চিকিৎসক তাদের মৃত ঘোষণা করেন।
পরে গভীর রাতে সাভার এনাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মিলন গামের্ন্টসের শ্রমিক আলেয়া বেগমের (৪৫) মৃত্যু হয়। সে মাগুড়া জেলার সদর থানা এলাকার বিল্লাল হোসেনের স্ত্রী।