বাগেরহাটের দরিদ্র শিশু আলিমুনের মাথাসহ সারাদেহে টিউমার আকারে ফুলে ওঠা রোগের চিকিৎসায় তিন সদস্যের বোর্ড গঠন করেছে সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
Published : 17 Jul 2017, 02:24 PM
জেলার কচুয়া উপজেলার সোনাকান্দর গ্রামের আজাহার শেখের ছেলে নয় বছর বয়সী আলিমুন চার-পাঁচ বছর ধরে এ সমস্যায় ভুগছে বলে পরিবার জানিয়েছে।
আলিমুনের চাচি শরিফা বেগম সাংবাদিকদের বলেন, চার-পাঁচ বছর আগে তার মাথায় টিউমারের মতো দেখা দেয়। সে সময় তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে জন্য নেওয়া হয়েছিল।
“ধারদেনা করে কিছুদিন ওষুধ খাওয়ানো হয়। খুলনার চিকিৎসকরা তাকে ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন। আমাদের অভাবের সংসারে তা আর হয়নি।”
তখন তাকে স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছিল জানিয়ে তিনি বলেন, বছর তিনেক আগে আলিমুনের বাবার মৃত্যু হলে চিকিৎসা সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে যায়।
এমন অবস্থায় মো. জাহিদুল ইসলাম নামে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসক আলিমুনের একটি ছবি ফেইসবুকে পোস্ট করলে স্থানীয় সাংবাদিকদের নজরে আসে।
রোববার দুপুরে প্রত্যন্ত ওই গ্রামে গিয়ে খোঁজখবর নিয়ে জানায় যায়, এক শতক জমির ওপর একটি কুঁড়েঘরে আলিমুন, বড় ভাই শুকুর আলী, মা সখিনা বেগম ও দাদি কুলসুম বেগম বসবাস করেন।
আলিমুনের মা সখিনা কখনও দিনমজুরি, কখনও অন্যের বাড়িতে ঝিয়ের কাজ করে চার সদস্যের অন্নসংস্থান করতেই হিমশিম খান।
তবে ঘটনা জানার পর বাগেরহাট সদর হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ দ্রুত পদক্ষেপ নেয়।
জেলার সিভিল সার্জন অরুণ চন্দ্র মণ্ডল বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, সোশ্যাল মিডিয়ায় ঘটনা জানার পরপরই তারা তার চিকিৎসার উদ্যোগ নিয়েছেন।
“হাসপাতালে ভর্তি করার পাশাপাশি মেডিসিন কনসালট্যান্ট সাঈদ আহমেদকে প্রধান করে তিন সদস্যের একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। তারা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে রোগ নির্ণয়ের চেষ্টা করছেন।”
স্থানীয়ভাবে চিকিৎসা দেওয়া সম্ভব না হলে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন বলে তিনি জানান।