অর্থবছরের প্রথম মাসে রাজস্ব বেড়েছে ভোমরা স্থলবন্দরে

ভোমরা বন্দর দিয়ে সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ পেতে চান ব্যবসায়ীরা।

সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দর।

চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রাজস্ব আয় বেড়েছে সাতক্ষীরার ভোমরা স্থলবন্দরের। পণ্য আমদানি-রপ্তানি বাড়ায় গত অর্থবছরের তুলনায় আয় বেড়েছে ১৬ কোটি টাকার বেশি।

ভোমরা শুল্ক স্টেশনের দায়িত্বরত কাস্টমসের ডেপুটি সহকারী কমিশনার নেয়ামুল হাসান জানান, অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইয়ে এ বন্দরে রাজস্ব আয় হয়েছে ৬০ কোটি ৮৬ লাখ ৭ হাজার ৫৫২ টাকা। বিদায়ী অর্থবছরের জুলাইয়ে আয় হয়েছিল ৪৪ কোটি ৭৪ লাখ ২৭ হাজার ৫৫১ টাকা। এ হিসাব অনুযায়ী রাজস্ব বেড়েছে ১৬ কোটি ১১ লাখ ৮০ হাজার এক টাকা।

নেয়ামুল হাসান বলেন, জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) চলতি ২০২৩-২৪ অর্থবছর ভোমরা স্থলবন্দরের জন্য এখন পর্যন্ত কোনো রাজস্ব আহরণের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করেনি।

“তবে চলতি অর্থবছরের প্রথম মাসে রাজস্ব আহরণের শুরুটা বেশ ভালো। আশা করা হচ্ছে আগামীতে আরো ভালো যাবে রাজস্ব আয়। পণ্য আমদানি-রপ্তানি বেড়ে যাওয়ায় রাজস্ব আয় বেড়েছে।”

ভোমরা স্থলবন্দরের সিঅ্যান্ডএফ এজেন্ট ব্যবসায়ী অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি কাজী নওশাদ দিলওয়ার রাজু জানান, ভোমরা বন্দরে রাজস্ব আয় দেশের অন্য যেকোনো বন্দরের চেয়ে বেশি হওয়া সম্ভব যদি ব্যবসায়ীরা সবধরনের পণ্য আমদানি করতে পারে।

তিনি বলেন, “ভারতের কলকাতার সঙ্গে ভোমরা বন্দরের দূরত্ব যেকোনো বন্দরের তুলনায় খুবই কম। তাছাড়া যোগাযোগ ব্যবস্থাও বেশ ভালো রয়েছে। সব মিলিয়ে ভোমরা বন্দর খুবই সম্ভাবনাময়। কিন্তু অত্যন্ত দুঃখের বিষয় হলো ভোমরা স্থলবন্দর ব্যবহারকারী ব্যবসায়ীদের সবধরনের পণ্য আমদানির অনুমোদন দেয়া হয় না।

“কী কারণে বা কার স্বার্থে ভোমরা বন্দরে এ বৈষম্য করা হয় তা বোধগম্য নয়। অথচ ভোমরা স্থলবন্দর দেশের পূর্ণাঙ্গ বন্দর হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।”

তিনি অবিলম্বে ভোমরা বন্দরে পণ্য আমদানিতে বৈষম্য তুলে নিয়ে ব্যবসায়ীদের সব ধরনের বৈধ পণ্য আমদানি-রপ্তানির সুযোগ দেওয়ার জন্য বন্দরসংশ্লিষ্টদের প্রতি আহ্বান জানান।