খালেদা জিয়া সরকারের ‘হেফাজতে’ রয়েছে- বিএনপির এমন দাবি নাকচ করার পাশাপাশি আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, বিএনপি চেয়ারপারসন কারাগারে ফিরলে তার বিদেশ যাত্রার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া যেতে পারে।
Published : 28 Nov 2021, 07:13 PM
রোববার সংসদে একটি আইন পাসের সময় বাছাই কমিটিতে পাঠানো ও সংশোধনী প্রস্তাবের ওপর বক্তব্য দেওয়ার সময় তিনি এনিয়ে কথা বলেন।
আইনমন্ত্রী বলেন, “খালেদা জিয়ার দণ্ড স্থগিত করে মুক্তি দেওয়া হয়েছে। উনি আমাদের কাস্টডিতে নাই। উনি সরকারের কাস্টডিতে নাই। তিনি দুটো শর্তে সম্পূর্ণ মুক্ত। মুক্ত বলে তিনি মুক্তভাবে বাসায় থাকতে পারছেন। মুক্ত আছেন বলেই তিনি মুক্তভাবে চিকিৎসা নিতে পারছেন।”
দুর্নীতির দুই মামলায় দণ্ড নিয়ে কারাগারে যাওয়া খালেদা জিয়া সরকারি আদেশে মুক্ত থাকার মধ্যে এখন অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে রয়েছেন। তাকে চিকিৎসার জন্য বিদেশ নিতে চাইলেও সরকারের সায় না পাওয়ায় বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার তাদের নেত্রীকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
আইনমন্ত্রী বলেন. “প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মানবিক কারণে ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় দণ্ডাদেশ স্থগিত করে তাকে (খালেদা) মুক্তি দিয়েছেন। তিনি সম্পূর্ণ মুক্ত। সেখানে দুটো শর্ত যুক্ত ছিল, সেটা এখনও আছে।”
দেড় বছর আগে খালেদার মুক্তির শর্তে বলা হয়েছিল, তাকে ঢাকায় নিজের বাসায় থেকে চিকিৎসা নিতে হবে এবং তিনি বিদেশে যেতে পারবেন না।
খালেদা জিয়া গত ১৩ নভেম্বর থেকে ঢাকার এভার কেয়ার হাসপাতালের সিসিইউতে চিকিৎসাধীন।
“আমি বলেছি, একটা বিষয়ে সিদ্ধান্ত হলে সেখানে নতুন করে সিদ্ধান্ত নেওয়া যায় না। এটা চাইলে উনাকে অরিজিনাল পজিশনে যেতে হবে। তারপর নতুন সিদ্ধান্ত হয়ত নেওয়া যাবে। ৪০১ ধারার বিষয়ে বিএনপি থেকে যে ব্যাখ্যা দেওয়া হচ্ছে, আমার তার সাথে দ্বিমত আছে। আমি আমার অবস্থান থেকে নড়ব না।”
রোববার সংসদে আইনমন্ত্রী উত্থাপিত একটি বিল পাসের আলোচনার সময় বিএনপির সংসদ সদস্যরা অভিযোগ করেন, খালেদা জিয়ার বাসাকে ‘সাব জেল’ বানিয়ে সেখানে রাখা হয়েছে।
জবাবে আইনমন্ত্রী বলেন, “উনারা কেবল বলেন, সাব জেল বানিয়ে রাখা হয়েছে। উনার বাসাটাকে কোনো জেলই বানানো হয়নি। উনাদের (বিএনপির) তথ্যে এতই বিভ্রাট, তা বুঝতে পারি না। এতই যদি ভালোবাসা থাকে, তাহলে তথ্যটি জেনে এখানে কথা বলতে পারেন। এত সুপারফিসিয়াল কথা বলেন।”