নির্বাচন বানচালের উদ্দেশ্যেই কামাল হোসেন-বি চৌধুরী এবং বিএনপির জাতীয় ঐক্য হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ১৪ দলের নেতারা।
Published : 25 Sep 2018, 10:24 PM
মঙ্গলবার রাজধানীর বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ের জাসদ কার্যালয়ে কেন্দ্রীয় ১৪ দলের আয়োজনে পেশাজীবী নেতাদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় জোটের মুখপাত্র আওয়ামী লীগ নেতা মোহাম্মদ নাসিম বলেন, “সংবিধান অনুযায়ী আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।
“নির্বাচনকালীন সরকারে প্রধানমন্ত্রী থাকবেন শেখ হাসিনা। শেখ হাসিনার অধীনেই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। আশা করি সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণ তার রায় দিবে।”
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী নাসিম বলেন, “শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়ন দেখেছে। সেই নেত্রীকে বিজয়ী করার জন্য বিভিন্ন সংগঠন এবং আমরা ঐক্যবদ্ধভাবে বিজয়ের ধারাকে অব্যাহত রাখব।”
সম্প্রতি ড. কামাল হোসেন এবং এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চোধুরীর নেতৃত্বে জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমাবেশে বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতাদের অংশগ্রহণের বিষয়ে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, “পরাজিত-হতাশ রাজনীতিকদের নিয়ে যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে তা চিহ্নিত, যেকোনো মূল্যে তা প্রতিহত করতে হবে। এদেরকে মানুষ দেখে, চেনে ও জানে। যে চক্রান্ত শুরু হয়েছে আমরা তা শুধু এখান থেকে প্রতিহতই করব না, একই সাথে তাদেরকে দেশের প্রতিটি জায়গা হতে প্রতিহত করা হবে।”
২৯ সেপ্টেম্বর রাজধানীতে এবং অক্টোবর থেকে দেশের প্রতিটি জেলা-উপজেলা পর্যায়ে ১৪ দলের সমাবেশ করার পরিকল্পনার কথা জানান তিনি।
“এসব সমাবেশে মুখোশধারীদের জনগণের সামনে উন্মোচন করা হবে।”
সভায় ১৪ দলের শরিক ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন বলেন, “নির্বাচনকে কেন্দ্র করে কিছু ষড়যন্ত্র হয়ে থাকে, এবারের ষড়যন্ত্রটা আরও গভীর। এই ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে সাম্প্রদায়িক শক্তিকে বাংলাদেশে প্রতিষ্ঠিত করার চক্রান্ত করা হচ্ছে।”
কামাল হোসেন-বি চৌধুরীর নেতৃত্বে অন্যান্য দলের জাতীয় ঐক্য প্রক্রিয়ার সমালোচনা করে তিনি বলেন, “এখানে সামগ্রিকভাবে ষড়যন্ত্রমূলক ঐক্য করা হয়েছে। তারা পাঁচ দফা যে দাবি দিয়েছে এসব নির্বাচনের আগে পূরণ হওয়ার সম্ভব না জেনেও দিয়েছে। এসব ষড়যন্ত্র সকল রাজনীতিক ও পেশাজীবীকে ঐক্যবদ্ধভাবে মোকাবেলা করতে হবে।”
জাসদ সভাপতি ও তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু বলেন, “বিএনপি-জামায়াত নির্বাচনে আসল কিনা সেটা চিন্তা করে আমাদের ঐক্য নির্ভর করবে না। যতক্ষণ পর্যন্ত সাম্প্রদায়িক জঞ্জাল পরিষ্কার না হবে ততক্ষণ আমাদের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন চলবে।”
কামাল হোসেন- বি চৌধুরী এবং খালেদার ঐক্য নিয়ে তিনি বলেন, “তাদের পরিকল্পনা হল নির্বাচন বানচাল করা।”
মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন নৌমন্ত্রী শাজাহান খান, সাম্যবাদী দলের সাধারণ সম্পাদক দীলিপ বড়ুয়া, তরিকত ফেডারেশনের সভাপতি নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারী, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক আব্দুর রহমান, গণতন্ত্রী পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাহাদাত হোসেন, চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক কামরুল হাসান খান, জাতীয় প্রেস ক্লাবের সভাপতি মুহাম্মদ শফিকুর রহমান, বিএফইউজে মহাসচিব শাবান মাহমুদসহ আরও অনেকে।