প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার পাঠানো উকিল নোটিস এখনও হাতে পাননি বলে জানিয়েছেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক।
Published : 21 Dec 2017, 09:00 PM
বৃহস্পতিবার আগারগাঁওয়ে এক অনুষ্ঠানের পর কয়েকটি টেলিভিশনের সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, যতক্ষণ পর্যন্ত আমার হাতে লিগ্যাল নোটিসটা না পাই… লিগ্যাল নোটিসটা নিয়ে আলাপ আলোচনার পরেই এটার জবাব দেওয়া হবে।”
বিদেশে সম্পদ নিয়ে বক্তব্যের জন্য বুধবার প্রধানমন্ত্রীকে ওই উকিল নোটিস পাঠান খালেদা।
সেখানে বলা হয়, ওই বক্তব্যের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে ‘নিঃশর্ত ক্ষমা’ চাইতে হবে এবং তা সংবাদমাধ্যমে প্রচারের ব্যবস্থা করতে হবে। ৩০ দিনের মধ্যে তা করা না হলে ক্ষতিপূরণ আদায় করতে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ওই নোটিস পাঠানোর বিষয়টি সাংবাদিকদের জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বুধবার সাংবাদিকদের বলেন, “প্রধানমন্ত্রী যেসব অভিযোগ করেছেন এর কোনো সত্যতা নেই, কোনো অস্তিত্বই নেই। আজকে একটা নোটিস দেয়া হয়েছে, তার কথাটি আমরা জানালাম।”
এ বিষয়ে আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য মতিয়া চৌধুরী বুধবার বলেনম বিষয়টি তারা আইনিভাবেই মোকাবিলা করবেন।
খালেদা জিয়া ও তার পরিবারের সদস্যদের বিদেশে অর্থ বিনিয়োগের খবরের বিষয়ে আওয়ামী লীগের কাছে কোনো তথ্যপ্রমাণ আছে কি না জানতে চাইলে মতিয়া বলেন, “আওয়ামী লীগ তথ্য প্রমাণ ছাড়া ভিত্তিহীন কোনও তথ্য প্রচার করে না। আওয়ামী লীগ কোনো দিন কোনো বানোয়াট কথা বলে না, ভিত্তিহীন তথ্য দেয় না।”
আর আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেন, “শুধু একটা কথা আমি বলতে চাই, লিগ্যাল নোটিস মানে হচ্ছে আইন প্রক্রিয়া এবং আইনি প্রক্রিয়ার মাধ্যমেই আমরা এর জবাব দেব।”
২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকারের প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি দুর্নীতির মামলা ঢাকার বিভিন্ন আদালতে বিচারাধীন। এর মধ্যে দুই কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা এতিমখানা ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিচার প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।
মুদ্রা পাচারের একটি মামলায় খালেদার ছেলে বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ইতোমধ্যে সাত বছরের সাজা দিয়েছে হাই কোর্ট।
শেখ হাসিনাকে হত্যাচেষ্টাসহ কয়েক ডজন মামলার পলাতক আসামি তারেক গত নয় বছর ধরে পরিবার নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন।