রোহিঙ্গা সঙ্কট নিয়ে মিয়ানমারের নেত্রী অং সান সু চির বক্তব্যে বাস্তব পরিস্থিতি এড়ানোর পাশাপাশি স্ববিরোধিতা খুঁজে পেয়েছে শরীফ নুরুল আম্বিয়া ও নাজমুল হক প্রধান নেতৃত্বাধীন জাসদ।
Published : 20 Sep 2017, 11:14 PM
রাখাইনে রাজ্যে রোহিঙ্গা নির্যাতন নিয়ে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সমালোচনার মুখে থাকা সু চির সরকারের অবস্থান জানিয়ে ভাষণ দেওয়ার পরদিন বুধবার বাংলাদেশের রাজনৈতিক দলটি এই প্রতিক্রিয়া জানায়।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, “রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর উপর পরিচালিত গণহত্যা সম্পর্কে সামান্যতম অনুশোচনা, রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্বের স্বীকৃতি, বিতাড়িত রোহিঙ্গাদের দেশে ফিরিয়ে নেওয়া প্রভৃতি বিষয়ে তিনি (সু চি) কিছুই উল্লেখ করেননি।
“উপরন্তু তিনি বেশ কিছু স্ববিরোধী কথা বলেছেন। তার কথার সূত্র ধরেই বলতে হয়, ৫ সেপ্টেম্বরের আগেও যদি হয়, একটি জনগোষ্ঠীকে নির্মূল করার জন্য সেনাবাহিনী কেন অভিযান চালিয়েছে?”
মিয়ানমারে দীর্ঘদিন ধরে জাতিগত নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের বিদ্রোহী একটি অংশ সম্প্রতি রাখাইনের পুলিশ ও সেনা চৌকিতে হামলা চালানোর পর সেনা অভিযানে ইতোমধ্যে চার লাখ মানুষ প্রাণ বাঁচাতে বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে।
সেখানকার সেনা নির্যাতন, হত্যা ও নারী ধর্ষণের ভয়াবহ বর্ণনা পাওয়া যাচ্ছে পালিয়ে আসা নতুন রোহিঙ্গাদের মুখে। রোহিঙ্গা গ্রামগুলো জ্বালিয়ে দিতেও দেখা গেছে বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে।
এই ঘটনায় দীর্ঘ নীরবতার পর মিয়ানমারের স্টেট কাউন্সেলর সু চি এক ভাষণে ‘যাচাইয়ের মাধ্যমে’ বাংলাদেশে থাকা শরণার্থীদের ফিরিয়ে নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন।
রাখাইনে সহিংসতা ও মানবাধিকার লঙ্ঘনের নিন্দা জানালেও সেনাবাহিনীর বিষয়ে কিছু বলেননি সু চি। ভাষণে রোহিঙ্গা শব্দটি তিনি উচ্চারণও করেননি।
জাসদের বিবৃতিতে বলা হয়, “সু চি বলেছেন, ব্যাপক হারে মুসলমানরা মিয়ানমার ত্যাগ করেছে। তিনি একটি ধর্মীয় সম্প্রদায়কে চিহ্নিত করে কি বার্তা দিতে চাইছেন? এটা কি নোবেল পুরস্কারের সর্বজনীন মানবাধিকারের নীতির সাথে মানানসই?”