হোম
+
জিয়াউর রহমানকে নিয়ে আওয়ামী লীগ সংসদ সদস্য সুবিদ আলী ভূঁইয়ার বক্তব্যের মধ্য দিয়ে সরকারের পতনের ইঙ্গিত দেখছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন।
Published : 20 Aug 2016, 04:30 PM
শনিবার এক আলোচনা সভায় তিনি তার নির্বাচনী এলাকার রাজনৈতিক প্রতিদ্বন্দ্বী সুবিদ আলীর বক্তব্যের দিকে ইঙ্গিত করে বলেছেন, “এই তো শুরু হয়েছে। যার ভারে সরকার নিজেরাই নিজেদের পতন ঘটাবে।”
কুমিল্লার দাউদকান্দি এলাকার সংসদ সদস্য সুবিদ আলী বুধবার একটি সংসদীয় কমিটির বৈঠকে জিয়াকে ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ বলে অন্য রাজনৈতিক সহকর্মীদের তোপে পড়েন।
তবে পরদিন সংবাদ সম্মেলন করে সাবেক এই সেনা কর্মকর্তা দাবি করেন, তিনি জিয়াকে ‘প্রথম রাষ্ট্রপতি’ বলেননি। তিনি বলতে চেয়েছিলেন, জিয়া ওই দাবি করেছিলেন।
খালেদা জিয়া প্রধানমন্ত্রী থাকাকালে সশস্ত্র বাহিনী বিভাগের পিএসও সুবিদ আলী দাউদকান্দিতে খন্দকার মোশারফের কারণে বিএনপিকে সুবিধা হবে না বুঝে আওয়ামী লীগে যোগ দেন বলে তার সমালোচকরা বলেন।
সুবিদ আলী ভূঁইয়া
কুমিল্লা-১ আসন থেকে সংসদ সদস্য হয়ে একাধিকবার মন্ত্রীর দায়িত্ব পালনকারী খন্দকার মোশাররফ এলাকায় তার প্রতিদ্বন্দ্বীর প্রসঙ্গটি তোলেন ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক আলোচনা সভায়।
গাজীপুর সিটি করপোরেশনের নির্বাচিত মেয়র বিএনপি নেতা এম এ মান্নাননের মুক্তির দাবিতে ‘মেয়র এম এ মান্নান মুক্তি পরিষদের’ উদ্যোগে এই আলোচনা সভা হয়।
কারাবন্দি বিএনপি নেতাদের মুক্ত করতে আন্দোলনে হতাশ না হওয়ার আহ্বান জানিয়ে মোশাররফ বলেন, “এই ধরনের ফ্যাসিবাদী সরকার ক্ষমতায় থাকলে বিরোধী দলকে নির্যাতিত হতে হয়। তবে এই কর্তৃত্ববাদী সরকার বেশিদিন আর টিকে থাকতে পারবে না।”
এরপরই তিনি নিজের বক্তব্যের পক্ষে সুবিদ আলীকে নিয়ে ঘটনাটির কথা বলেন।
“আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য বলতে বাধ্য হয়েছেন, পার্লামেন্টারি কমিটিতে আনুষ্ঠানিক সভায়, জিয়াউর রহমান দেশের প্রথম প্রেসিডেন্ট ছিলেন। অনেকে বলেন, এই এমপির হয়ত মুখ দিয়ে হঠাৎ করে বের হয়ে গেছে। নিশ্চয় তিনি বিশ্বাস করেন, মনে মনে এই কথা, সেজন্য এটা হঠাৎ করে বের হয়ে গেছে।”
“আমার বিশ্বাস যে, এদের মধ্য থেকে এমন সব ঘটনাবলী ঘটবে। যার ভারে এই সরকারের পতন হবে।”
গাজীপুর জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাইয়েদুল আলম বাবুলের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় অন্যান্যের মধ্যে বিএনপির শ্রম বিষয়ক সহ সম্পাদক হুমায়ুন কবির খান, সহ স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, নির্বাহী কমিটির সদস্য খন্দকার মারুফ হোসেন, ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের একাংশের মহাসচিব এম আবদুল্লাহ বক্তব্য রাখেন।
