পেঁয়াজকলি, থাই, পুদিনা বা ধনেপাতা বারংবার কিনে আনা যেমন ঝামেলা, তেমনি সংরক্ষণও করা যায় না। তাই বাসাতেই এসব গাছের চাষ করতে পারেন।
Published : 31 Dec 2015, 04:10 PM
রান্নাঘরের বাগানের বিষয়ে শেরেবাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্যানতত্ত্ব বিভাগের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. এএফএম জামাল উদ্দিনের কাছ থেকে জানা যায় সহজে চাষ করা যায় এমন কিছু পাতার কথা।
পুদিনাপাতা: সতেজকারী গন্ধ ও স্বাদের জন্য এই পাতার জনপ্রিয়তা জগতজোড়া। বাজার থেকে আনা পুদিনা পাতার গোড়াগুলো কেটে পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। এরপরে ছড়ানো কম এমন গভীর একটা পাত্রে মাটি ও সবুজ সার মিশিয়ে একটু দূরে শিকড়সহ গোড়াগুলো বুনে দিন। পুদিনা পাতা শিকড়ের শাখা বাড়ার মাধ্যমে বংশ বিস্তার করে। নিয়মিত পানি এবং সূর্যের আলো পেলে খুব অল্প সময়ের মাঝেই পুদিনাপাতার গাছে পাত্রটি ভরে উঠবে। এরপর যখনই পাতা লাগবে সরাসরি গাছ থেকে ছিঁড়েই নিতে পারবেন।
ধনে পাতা: এটাও শিকড় বুনে ফলানো যায়। তবে সবচেয়ে ভালো হয় যদি ধনেপাতার বীজ বুনে গাছ লাগানো যায়। ধনে পাতা এক বর্ষী বিরুৎ, মানে একবার কাণ্ডসহ পাতা তুলে নিলেই গাছের প্রয়োজনীয়তা শেষ হয়। লম্বা ধনেপাতাও একইভাবে চাষ করা যায়। শীতকাল ধনেপাতা চাষের জন্য উপযুক্ত ঋতু। পুদিনাপাতার মতোই একইরকম মাটি এবং যত্ন লাগে তবে পাত্রটি খুব বেশি ছড়ানো না হলেও সমস্যা নাই।
পেঁয়াজ কলি: শীতে সবজি বা মাছের তরকারিতে একটু পেঁয়াজ পাতা খেতে বেশ ভালো লাগে। কিনে আনা পেঁয়াজেই অনেক সময় ছোট গাছ দেখা যায়। এই গাছ বুনে দিলে কিছুদিনের মধ্যে পেঁয়াজ পাতা গজিয়ে যায়। যা কেটে তাজা অবস্থায় দিয়ে দিতে পারেন আপনার রান্নায়।
বেসিল: বেসিল যদিও ইটালিয়ান খাবারে ব্যবহৃত হয়। তবে বেসিল হচ্ছে আমাদের আদি ও অকৃত্রিম তুলসী পাতা। তুলসী গাছও পেয়ে যাবেন যে কোনো নার্সারিতে। এই গাছের ছয় থেকে আট ঘণ্টা রোদের প্রয়োজন হয়। বিকালের রোদ তুলসী গাছের জন্য বেশ ভালো। তাই বাসার যেখানে বিকালের রোদ পড়ে সেখানে রাখতে পারেন একটা তুলসীর গাছে। ঠাণ্ডা কাশিতে তুলসীর রস খুব উপকারী।
ছবি: দীপ্ত।