সাধারণ ফ্লুর মত উপসর্গ দেখিয়ে শুরু হলেও নতুন ধরনের করোনাভাইরাস ইতোমধ্যে কেড়ে নিয়েছে প্রায় পৌনে দুইশ মানুষের প্রাণ, পুরো বিশ্বে ছড়িয়ে দিয়েছে আতঙ্ক।
Published : 30 Jan 2020, 01:48 PM
নতুন এ করোনাভাইরাস মূলত শ্বাসতন্ত্রে সংক্রমণ ঘটায়। লক্ষণগুলো হয় অনেকটা নিউমোনিয়ার মত। শুরুটা হয় জ্বর দিয়ে, সঙ্গে থাকতে পারে সর্দি, শুকনো কাশি, মাথাব্যথা, গলাব্যথা ও শরীর ব্যথা। দেখা দিতে পারে শ্বাসকষ্টও।
সঙ্কটের এই সময়ে আতঙ্কিত না হয়ে বরং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলে নিজেকে ও আশেপাশের মানুষকে সুরক্ষিত রাখার পরামর্শ দিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)।
নভেল করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষার জন্য ডব্লিউএইচওর ওয়েবসাইটের পাশাপাশি সোশাল মিডিয়ায় সচেতনতামূলক বিভিন্ন পরমর্শ দেওয়া হচ্ছে নিয়মিত।
মাংস ও ডিম অবশ্যই যথাযথ তাপে ও ভালোমত রান্না করে খেতে হবে।
যে কোনো অসুস্থ ব্যক্তির সেবা করার পর হাত ধুতে হবে। কোনো প্রাণির যত্ন নিলে বা স্পর্শ করলে ও প্রাণিবর্জ্য ধরার পরও হাতে ধুতে হবে।
ব্যবহার করা টিস্যু খোলা ঝুড়ি বা ডাস্টবিনে না ফেলে ঢাকনা রয়েছে এমন ঝুড়িতে ফেলতে হবে।
কাঁচা মাংস, সবজি, রান্না করা খাবার কাটার জন্য ভিন্ন চপিং বোর্ড ও ছুরি ব্যবহার করতে হবে।
কাঁচা মাংস, সবজি ও রান্না করা খাবার হাতে ধরার আগে অবশ্যই প্রত্যেকবার হাত ধুয়ে নিতে হবে।
কাঁচা বাজারে অবস্থানের সময় অযথা মুখে-চোখ স্পর্শ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।
যদি জ্বর-সর্দি অনুভূত হয়, তাহলে যে কোনো ভ্রমণ বাতিল করাই ভালো। পাশাপাশি চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে স্বাস্থ্যপরীক্ষা ও ওষুধ খেতে হবে।
একবার মাস্ক ব্যবহারের পর ফেলে দিতে হবে। মাস্ক ধরার পর হাতে ধুয়ে নিতে হবে।
এর আগে রোগের ইতিহাস থাকলে সেটাও চিকিৎসককে জানাতে হবে।
গত বছরের শেষে এসে চীনের উহানে নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার কয়েকটি ঘটনা নিয়ে সতর্ক করেছিল বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও)। এর এক সপ্তাহ পর নতুন ওই ভাইরাসটি শনাক্ত হয়।
সার্স ও মার্স ভাইরাস পরিবারের এই করোনাভাইরাসের নাম দেওয়া হয়েছে ২০১৯-এনসিওভি।
পরিস্থিতি মোকাবিলায় চীন ও বিশ্বের অন্যান্য বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে একযোগে কাজ করছে ডব্লিউএইচও।