ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায় ঢাকার দুই মেয়রকে মশা নিধনে সমন্বিতভাবে ‘ক্র্যাশ’ প্রোগ্রাম নেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন একজন বিশেষজ্ঞ।
Published : 24 Jul 2019, 08:56 PM
বুধবার এক সেমিনারে অধ্যাপক এবিএম আব্দুল্লাহ বলেন, “আপনারা যদি এক দিকে কর্মসূচি নেন তাহলে মশা অন্য দিকে উড়ে যেতে পারে। তাই আপনাদের সমন্বিতভাবে কর্মসূচি নিতে হবে।”
মশাবাহিত রোগ ডেঙ্গু বাংলাদেশে ২০০০ সালে প্রথম দেখা দিলে যে কয়েকজন চিকিৎসক এই রোগীদের সেবা দেন তাদের একজন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ।
এ বছর ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বাড়ছে ব্যাপকভাবে, গত ২৪ ঘণ্টায় ৭৮৪ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হওয়ার তথ্য দিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
সরকারি হিসাবেই চলতি জুলাই মাসে বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো এক মাসে সর্বোচ্চ সংখ্যক মানুষ ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়েছেন।
“এই পরিস্থিতি উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের যৌথভাবে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম দাবি করে। ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা বৃদ্ধির অর্থ নতুন করে এডিস মশার বংশ বিস্তার হচ্ছে।”
বাংলাদেশ মেডিকেল অ্যাসোসিয়েশন এই সেমিনার আয়োজন করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালে, যেখানে ডেঙ্গুর জন্য খোলা বিশেষায়িত একটি ইউনিটে অন্তত ১৩০ জন রোগী ভর্তি ছিল এদিন।
“ডেঙ্গু রোগীদের জন্য আমরা একটি আলাদা কর্নারের ব্যবস্থা করেছি।”
ডেঙ্গু থেকে নিজেকে রক্ষায় মশার কামড় খাওয়া এড়াতে সর্বোচ্চ সতর্কতা নেওয়ার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন অধ্যাপক আব্দুল্লাহ।
অধ্যাপক আব্দুল্লাহ বলেন, “এডিস মশা স্বচ্ছ পানিতে জন্মায় ঘরের ভেতর ও আশপাশে। এ বছর বর্ষা মওসুম এসেছে আগেভাগে। বছরের শুরু থেকেই বৃষ্টি হয়েছে। ভারী বৃষ্টিতে ঘরের বাইরের মশার বংশ বিস্তারের জায়গাগুলো ধুয়ে যায়।
“জ্বর হলেই চিকিৎসকের কাছে যান। আমার পরামর্শ হচ্ছে, রোগীদের ঘরে না থাকা। যারা মারা গেছে তাদের অধিকাংশই জ্বরকে ততোটা গুরুত্ব দেননি।”