একই সঙ্গে তোপ ও ভালোবাসার মুখে দীপিকা

শেষ পর্যন্ত শুধুমাত্র দীপিকা পাড়ুকোণ গিয়ে দাঁড়ালেন জহরলাল নেহরু ইউনিভার্সিটি, (জেএনইউ)-এর বিক্ষোভরত শিক্ষার্থীদের পাশে।

রবিবার রাতে  জেএনইউতে নারকীয়া হামলার পর যখন বলিউডের বেশিরভাগ তারকারাই চুপ করে বসে আছে- তখনই মঙ্গলবার রাতে দীপিকা পাড়ুকোণকে দেখা যায় বিক্ষোভরত ছাত্রছাত্রীদের পাশে গিয়ে দাঁড়াতে। তার এই পদক্ষেপকে সাহসিকতার পরিচায়ক হিসেবে অনেকে উল্লেখ করলেও তোপের মুখে পড়েছেন এই তারকা।

দীপিকার সমর্থনের সঙ্গে সঙ্গে বিজেপির নেতা কর্মীরা একে তার নতুন সিনেমার প্রচারণার অংশ হিসেবে মনে করছেন। টুইটারে #বয়কটচাপাক এবং #বয়কটদীপিকা এমন হ্যাশট্যাগ দিয়ে দীপিকার বিরুদ্ধে প্রচারণা করছেন তারা।

উল্লেখ্য ‘চাপাক‘ নামে একটি সিনেমা মুক্তি মিছিলে আছে যেটিতে তিনি এসিড সন্ত্রসের শিকার লক্ষ্মী আগারওয়ালের ভূমিকায় অভিনয় করছেন।

এই বিষয়ে দীপিকার বক্তব্য পাওয়া না গেলেও অন্যান্য তারকার যেমন সোনাক্ষ্মী সিনহা, রিচা চাড্ডা নিজেদের টুইটার একাউন্ট থেকে দীপিকাককে সাধূবাদ জানিয়েছেন।

সোনাক্ষ্মী সিনহা লিখেছেন, ‘যে রাজনৈতিক দলই সমর্থন করা হোক, সন্ত্রাসকে কী আমরা আমরা সমর্থন করতে পারি?’

অনুরাগ কাশ্যপও দীপিকা পাড়ুকোণের সরব উপস্থিতির নীরব সমর্থনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন।

কিন্তু কথা বলেননি শাহরুখ খান, সালমান এমন কী বচ্চন পরিবারও।

ভারতের অনেক নামকরা সমালোচকরা বলেছেন, রাজনৈতিক রোষ এড়াতেই এসব ব্যাপারে নীরব থাকেন বলিউডের তারকারা।

কিন্তু যৌক্তিকভাবে নিজের মত প্রকাশে কিসের ভয়- জানতে চায় সাধারণ মানুষ। এমনকী আমেরিকার প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পে যদি সমালোচনা হলিউডের তারকা যেমন টম হ্যাংকস বা লেডি গাগা করতে পারে- উপমহাদেশে কেন তারকারা মুখে কুলপ এঁটে থাকেন- এই প্রশ্ন এখন সাধারণ জনতার মাঝেও।

উল্লেখ্য, দীপিকার উপস্থিতির পর তার ভক্তরাও জেএনইউ’য়ের সাধারণ শিক্ষার্থীদের পাশে দাঁড়াচ্ছে।

এদিকে লক্ষ্মী আগারওয়ালের উকিল সমুচিত সম্মান না জানানোর জন্য দীপিকার বিরুদ্ধে কেইস ফাইল করতে যাচ্ছেন। তাদের দাবী- সিনেমাটির মুক্তির সময় চলে এলেও সাধারণ ‘ধন্যবাদ’ও জানাননি সিনেমাটির কলাকুশলী।

প্রসঙ্গত, ‘চাপাক‘ সিনেমাটি মুক্তি পাচ্ছে আগামীকাল। এর পরিচালনা করেছেন, মেঘনা গুলজার।