বিশ্বের ৬ হাজার ৪৭৫টি শহরের বায়ুমানের তথ্য বিশ্লেষণ করে এক সমীক্ষায় দেখা গেছে, ২০২১ সালে একটি দেশও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) প্রত্যাশিত বায়ুমান বজায় রাখতে পারেনি; আর দূষণের মাত্রার বিচারে সবার উপরে রয়েছে বাংলাদেশের নাম।
Published : 22 Mar 2022, 01:20 PM
কোথায় প্রতি ঘনমিটার বাতাসে ভাসমান ২.৫ মাইক্রোমিটার ব্যাসের বস্তুকণার (পার্টিকুলেট ম্যাটার বা পিএম) পরিমাণ কত মাইক্রোগ্রাম (পিএম২.৫), তার ভিত্তিতে এই বার্ষিক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সুইস সংস্থা আইকিউ এয়ার, যারা বায়ুদূষণ এবং বায়ু পরিশোধন প্রযুক্তি নিয়ে কাজ করে।
রয়টার্স লিখেছে, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) তাদের বায়ুমান নির্দেশিকা সংশোধন করে ঘোষণা দেয়, বাতাসে পিএম২.৫ এর পরিমাণ প্রতি ঘনমিটারে ৫ মাইক্রোগ্রামের বেশি হলেই ওই বাতাসকে আর স্বাস্থ্যকর বলা যাবে না, তারণ এ বস্তুকণার অল্প ঘনত্বও স্বাস্থ্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে।
বাংলাদেশের বাতাসে পিএম২.৫ এর গড় পরিমাণ ছিল ৭৬ দশমিক ৯ মাইক্রোগ্রাম, যা সমীক্ষার ১১৭টি দেশ ও অঞ্চলের মধ্যে সবচেয়ে বেশি। এই হিসেবে গতবছর বিশ্বে বাংলাদেশের বাতাসই ছিল সবচেয়ে দূষিত।
সাতটি দেশে এই পরিমাণ ছিল ৫০ মাইক্রোগ্রামের বেশি, যার মধ্যে দক্ষিণ এশিয়ার দুই দেশ পাকিস্তান তালিকার তৃতীয় (৬৬ দশমিক ৮ মাইক্রোগ্রাম) এবং ভারত তালিকার পঞ্চম (৫৮ দশমিক ১ মাইক্রোগ্রাম) অবস্থানে রয়েছে।
আইকিউ এয়ার ২০১৮ সাল থেকে এই প্রতিবেদন প্রকাশ আসছে এবং প্রতিবারই বাংলাদেশ দূষিত দেশের তালিকায় প্রথম দিকে থাকছে।
ঢাকায় দূষণ তুলনামূলক কম হওয়ার বড় কারণ ছিল গতবছর এপ্রিল থেকে সেপ্টেম্বরের মধ্যে মহামারীর লকডাউন। অবশ্য রাজধানী শহরগুলোর ভেতরে ঢাকা আছে দিল্লির পর দ্বিতীয় অবস্থানে।
এবারের প্রতিবেদন বলছে, সবচেয়ে দূষিত ৫০টি শহরের মধ্যে ৪৬টিই মধ্য ও দক্ষিণ এশিয়ার।
আইকিউ এয়ারের এয়ার কোয়ালিটি সায়েন্স ম্যানেজার ক্রিস্টি শ্রোডার বলেন, অনেক দেশ বায়ুদূষণ কমানোর উদ্যোগ নিচ্ছে। চীনের অবস্থা আগে অনেক খারাপ থাকলেও এখন উন্নতি হচ্ছে। তবে বিশ্বে অনেক জায়গার বায়ুদূষণ পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’।