মশার উৎপাত থেকে নগরবাসীকে রক্ষায় পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমকে প্রাধান্য দিয়ে ১০০ দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি শুরু করলেন চট্টগ্রামের মেয়র এম রেজাউল করিম চৌধুরী।
Published : 20 Feb 2021, 06:47 PM
শনিবার নগরীর চান্দগাঁও ওয়ার্ডে নতুন থানা চত্বরের সামনে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রমের মধ্য দিয়ে কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
রেজাউল বলেন, মশার বিস্তার নাগরিক দুর্ভোগ ও অস্বস্তির বড় উপসর্গ। মশার বিস্তার নিরসনে প্রথম ২০দিনে ৪১ ওয়ার্ডকে কয়েকটি জোনে ভাগ করে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করা হবে।
এ কার্যক্রমে নগরবাসীকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, করপোরেশন মশা নিধনের ওষুধ ছিটাবে, প্রকাশ্য স্থান ও নালা-নর্দমার জমে থাকা আবর্জনা ও বর্জ্য পরিস্কার করবে। শুধু এভাবে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা সম্ভব নয়।
এজন্য নাগরিক সচেতনতা প্রয়োজন উল্লেখ করে রেজাউল বলেন, নিজ গরজেই বাসা-বাড়িতে মশার প্রজনন ও উৎসস্থল ধ্বংস এবং আবর্জনা সরিয়ে ফেলে নির্দিষ্ট জায়গায় ফেলতে হবে। কেউ নালা-নর্দমায় বা খালে এবং পানি চলাচলের পথে পলিথিন ও প্লাস্টিক,বর্জ্য-আবর্জনা ফেলা যাবে না।
মশা মারতে করপোরেশনের পক্ষ থেকে যেসব ওষুধ ছিটানো হয় তার মান নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে উল্লেখ করে সিটি মেযর বলেন, মশার ওষুধের মান নির্ণয়ের জন্য ঢাকায় পরীক্ষাগারে পাঠিয়ে যাচাই-বাছাই করা হবে।
রেজাউল করিম চৌধুরী বলেন, নগরবাসীর প্রত্যক্ষ ভোটে মেয়র পদে পাঁচ বছরের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত হলেও এই সময়ের মধ্যে সকলের শতভাগ আকাক্সক্ষা ও চাহিদা পূরণ কখনও সম্ভব নয়। এই বাস্তবতার প্রেক্ষিতে অধিকতর জনগুরুত্বপূর্ণ সমস্যাগুলো চিহ্নিত করে ১০০ দিনের মধ্যে সেগুলো ধাপে ধাপে সম্পন্ন করার চেষ্টা করব।
এ বছরের ২৭ জানুয়ারি হওয়া নির্বাচনে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র নির্বাচিত হন নগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক এম রেজাউল করিম চৌধুরী। ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। নির্বাচনের আগে দেয়া ইশতেহারে জলাবদ্ধতা নিরসনকে প্রাধান্য দেওয়া হয়। সেসময় তিনি মেয়র নির্বাচিত হওে ১০০দিনের অগ্রাধিকার কর্মসূচি দেয়ার কথাও বলেছিলেন।
সিটি মেয়র ১০০দিনের কর্মসূচির উদ্বোধনকালে নগরীর বিভিন্ন সড়ক সংস্কারের বিষয়েও কথা বলেন।
তিনি বলেন, নগরীর অনেক সড়ক যান ও জন চলাচলের অনুপযোগী। সব একসাথে সংস্কার বা মেরামত করা সম্ভব নয়। যেগুলোর বেশি বেহাল অবস্থা, সেগুলো আগে-ভাগে মেরামত ও খানা-খন্দক ভরাট করা হবে। নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়কগুলোর রক্ষণাবেক্ষন ও সক্ষমতা, ধারণ ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য উন্নত-প্রকৌশলগত পরিকল্পনা প্রয়োজন। তাই ধৈর্য্য ধরতে হবে।
কোনো সমস্যার সমাধান রাতারাতি হবে না উল্লেখ করে রেজাউল করিম বলেন, “তবে সমস্যা সমাধানে আমি উদ্যোগী ও সচেষ্ট। যে কোন নাগরিক সমস্যা বা দুর্ভোগ থাকলে তা আমাকে অবগত করা হলে তা নিরসন ও লাঘবে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেয়া হবে।”
এসময় স্থানীয় কাউন্সিলর এসসারুল হক, মোহাম্মদ শহিদুল আলম, এম আশরাফুল আলম, প্রধান রাজস্ব কর্মকর্তা মফিদুল আলমসহ বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।