চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের জন্য দুই হাজার পিপিই দিয়েছে শিল্পগোষ্ঠী এস আলম গ্রুপ।
Published : 03 Apr 2020, 11:49 PM
শুক্রবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে করোনাভাইরাস প্রতিরোধ ও মোকাবেলা সংক্রান্ত জেলা কমিটির সভায় জেলা প্রশাসকের কাছে এসব পিপিই হস্তান্তর করা হয়।
এসময় চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ ইলিয়াস হোসেন বলেন, চট্টগ্রামে পর্যাপ্ত পরিমাণে পারসোনাল প্রটেক্টিভ ইক্যুপমেন্ট (পিপিই) আছে।
তবে তিনি বলেন, “যারা করোনাভাইরাসের রোগীদের সংস্পর্শে যাবেন শুধু তারাই পিপিই পরিধান করবেন, অন্যরা নয়।”
স্বাস্থ্য বিভাগের পক্ষ থেকে চট্টগ্রামে আইসিইউ ও ভেন্টিলেশনের জন্য নির্ধারিত দুই বেসরকারি হাসপাতাল পার্কভিউ ও ইম্পেরিয়ালে প্রয়োজনীয় সংখ্যক পিপিই ও অন্যান্য সরঞ্জাম সরবরাহ করা হবে বলেও সভায় জানান জেলা প্রশাসক।
সভায় এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান সাইফুল আলম মাসুদের ব্যক্তিগত সহকারী আকিজ উদ্দিন দুই হাজার পিপিই হস্তান্তর করেন। আরও পাঁচ হাজার পিপিই পর্যায়ক্রমে দেওয়া হবে বলেও জানান আকিজ উদ্দিন।
জেলা প্রশাসক ইলিয়াস হোসেন বলেন, “এখন বাংলাদেশে অন্যতম বড় ইস্যু পিপিই। যেটা নিয়ে অনেক কথা, লেখালেখি ও সংবাদ প্রচারিত হয়েছে। চীন থেকে পিপিই আমাদের দেশে পৌঁছেছে। পাশাপাশি আমাদের দেশের শিল্পপতিরাও এগিয়ে এসেছেন।
“এসব পিপিই চট্টগ্রামের চিকিৎসকদের চিকিৎসা প্রদানে সহায়তা করবে। যেসব চিকিৎসক পিপিই না থাকার কারণে চিকিৎসা দিতে ভয় পাচ্ছেন, তাদের ভয় আর থাকবে না।”
তিনি বলেন, শুধু সরকারি হাসপাতালে নয়, বেসরকারি হাসপাতালেও পিপিই সরবরাহ করা হবে। সভায় পিপিই সরবরাহ বিষয়ে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন ডা. সেখ ফজলে রাব্বি বলেন, “এ পর্যন্ত চট্টগ্রামে ৩৯৯৮টি পিপিই মজুদ আছে। এস আলম গ্রুপের পক্ষ থেকে আরও দুই হাজার পিপিই পাওয়া গেছে। এগুলো থেকে ১৫ উপজেলায় ১৫০০ পিপিই দেওয়া হবে।
পরিস্থিতি মোকাবেলায় ১৪টি সরকারি ও ১০টি বেসরকারি এম্বুলেন্স প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও জানান সিভিল সার্জন।
সভায় অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোহাম্মদ কামাল হোসেন, জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) একেএম এমরান ভুঁইয়া, জেনারেল হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. অসীম কুমার নাথসহ উর্ধতন সরকারি কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।