ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ উপকূলে আঘাত হানার আগে ৯ নম্বর বিপদ সঙ্কেত জারির পর চট্টগ্রাম সমুদ্রবন্দরে চার মাত্রার সতর্কতা জারি করেছে কর্তৃপক্ষ।
Published : 09 Nov 2019, 10:29 AM
চার মাত্রার সতর্কতা জারির পর চট্টগ্রাম বন্দরের জেটি থেকে সব জাহাজ বহির্নোঙ্গরের দিকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন বন্দর সচিব ওমর ফারুক।
তিনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “ইতোমধ্যে বন্দরের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধ করা হয়েছে। জেটিতে কোনো জাহাজ নেই। শনিবার সকাল থেকে সকল জাহাজ জেটি ছেড়ে গেছে।”
ঝড়ে দুর্ঘটনা এড়াতেই জাহাজগুলোকে জেটি থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় বলে বন্দর কর্মকর্তারা জানান। ঝড় কেটে গেলে সেগুলো পুনরায় জেটিতে ফিরে আসে।
জাহাজ চলাচল বন্ধ হলেও স্বাভাবিক রয়েছে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আর্ন্তজাতিক বিমানবন্দরের কার্যক্রম।
বিমানবন্দর ম্যানেজার উইং কমান্ডার সারোয়ার ই জামান সকাল ১১টার দিকে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “বিমান ওঠানামাসহ সকল অপারেশনাল কার্যক্রম এখনও স্বাভাবিক আছে। যে কোনো ধরনের পরিস্থিতির জন্য আমরা প্রস্তুত আছি।”
এদিকে শনিবার সকাল থেকে চট্টগ্রাম মহানগরীসহ আশেপাশের এলাকায় মেঘলা আবহাওয়া বিরাজ করলেও বৃষ্টি হচ্ছে না। ঝড়ের সতর্কতার কারণে নগরীর সড়কগুলোতে যানবাহন চলাচলও কম দেখা গেছে।
অতিপ্রবল ঘূর্ণিঝড় বুলবুল শনিবার সন্ধ্যা নাগাদ সুন্দরবন হয়ে উপকূলে আঘাত হানতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর। চট্টগ্রামে ৯ নম্বর সঙ্কেত থাকলেও মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরে ১০ নম্বর মহাবিপদ সঙ্কেত দেখাতে বলা হয়েছে।
এদিকে, ঘূর্ণিঝড় বুলবুল মোকাবেলায় সব ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসনের। নিয়ন্ত্রণ কক্ষ খোলার পাশাপাশি জেলার উপকূলীয় উপজেলাগুলোতে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলে কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।
জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আবুল কালাম আজাদ বলেন, জেলায় ৪৭৯টি স্থায়ী সাইক্লোন সেন্টার এবং চার হাজারের মতো স্কুল কলেজের পাকা ভবন উপকূলের লোকদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রস্তুত রয়েছে।
বিপদ সংকেত ৯ এ ওঠার পর থেকে উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে সন্দ্বীপ, বাঁশখালী, আনোয়ারা, কর্ণফুলী, সীতাকুণ্ড, মিরসরাই উপজেলায় ঝুঁকিপূর্ণ এলাকা থেকে সরে যেতে প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং চলছে।
কিছু এলাকায় যারা সরতে চাইছে না তাদের জোর করে সরানোর উদ্যোগ নেয়া হয়েছে বলেও জানান কালাম।
বুলবুল মোকাবেলায় সর্বাত্মক প্রস্তুতি নিয়েছে ফায়ার সার্ভিসও।
চট্টগ্রাম ও কক্সবাজারে ২৮টি ইউনিট প্রস্তুত রাখা হয়েছে উল্লেখ করে আগ্রাবাদ ফায়ার সার্ভিসের সহকারী পরিচালক জসিম উদ্দিন বলেন, রিজার্ভ ও ভলান্টিয়ারসহ ১০টি রেসকিউ গাড়ি উপকূল থেকে লোকজনদের নিরাপদে সরিয়ে আশ্রয়কেন্দ্রে নিয়ে যাওয়ার জন্য কাজ করছে।