পুলিশের লাঠিপেটা আর কাঁদুনে গ্যাসের মুখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটকের সামনে থেকে সরে গিয়ে প্রক্টর কার্যালয়ে হামলা ও ভাংচুর চালিয়েছে ছাত্রলীগের একটি অংশ।
Published : 20 Feb 2018, 03:19 PM
মঙ্গলবার দুপুরে এ হমলা চালানো হয়।
হামলাকারীরা ক্যাম্পাসে নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সিটি করপোরেশনের মেয়র আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে পরিচিত।
সোমবার দুপুরে ক্যাম্পাসে প্রয়াত এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী ও আ জ ম নাছিরের আনুসারীদের মধ্যে সংঘর্ষের পর রাতে দুইটি হলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় ধারালো ও দুইটি আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার করে পুলিশ।
তল্লাশীর সময় ‘পুলিশের দুর্ব্যবহারের’ প্রতিবাদে ও প্রক্টরের পদত্যাগের দাবিতে মঙ্গলবার বেলা ১২টার দিকে নাছিরের অনুসারী চবি ছাত্রলীগের অংশটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ফটক বন্ধ করে দিয়ে সেখানে অবস্থান নেয়। আধাঘণ্টা পর পুলিশ লাঠিচার্জ ও টিয়ার শেল ছুড়ে তাদের সরিয়ে দেয়।
হামলাকারীরা প্রক্টর কার্যালয় ছাড়াও বাইরে থাকা প্রক্টর, সময় টেলিভিশন ও অন্য একটি গাড়ি ভাংচুর করে। এছাড়া পরিবহন দপ্তরে নয়টি বাস, তিনটি মাইক্রোবাস ও একটি পিকআপ ভ্যান ভাংচুর করা হয়।
হামলার সময় সেখানে প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী ছাড়াও কলা অনুষদের ডিন মো. সেকান্দার চৌধুরীও উপস্থিত ছিলেন।
সময় টিভির চট্টগ্রামের প্রতিবেদক পার্থ প্রতীম বিশ্বাস বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “প্রক্টরের সাক্ষাৎকার নেওয়ার সময় কয়েকজন ছাত্র এসে অফিসে ইট নিক্ষেপ শুরু করে।”
কার্যালয়ে থাকা যমুনা টিভির প্রতিবেদক আরিফুর সবুজ বলেন, “প্রথমে বাইরে থেকে ছাত্রলীগ কর্মীরা ইট নিক্ষেপ করা শুরু করে। ওই সময় আমরা নিজেদের রক্ষায় মাটিতে বসে গেলে তারা কার্যালয়ের ভেতরে আমাদের লক্ষ্য করে ইট ছুড়তে থাকে।”
এই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন প্রক্টর আলী আজগর চৌধুরী।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, হামলাকারীরা আ জ ম নাছিরের অনুসারী হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত, যাদের নেতৃত্বে আছেন বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রলীগের বিলুপ্ত কমিটির সভাপতি আলমগীর টিপু।
টিপু সিআরবি টেন্ডার সন্ত্রাসে জোড়া খুন ও নিজ দলের নেতা দিয়াজ ইরফান চৌধুরী হত্যা অন্যতম আসামি।