বিজেএমসির সব বন্ধ মিল চালু এ বছরেই: পাটমন্ত্রী

ইতোমধ্যে তিনটি পাটকল ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল পরিদর্শন করেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী। ছবি: পিআইডি চট্টগ্রাম

এ বছরের মধ্যে বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের (বিজেএমসি) অধীনে থাকা সব বন্ধ মিল পর্যায়ক্রমে চালু করা হবে বলে জানিয়েছেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী।

বুধবার দুপুরে চট্টগ্রামের আমিন জুট মিল পরিদর্শনে গিয়ে সাংবাদিকদের এ কথা জানান তিনি।

তিনি বলেন, “বাংলাদেশ পাটকল করপোরেশনের ভাড়াভিত্তিক মিলে বেসরকারি ব্যবস্থাপনায় উৎপাদন ও উৎপাদিত পাটপণ্য রপ্তানি কার্যক্রম শুরু হয়েছে। এসব মিলে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হয়েছে।

“এর মধ্যে তিনটি জুট মিল (নরসিংদীর বাংলাদেশ জুট মিলস লি., চট্টগ্রামের কেএফডি জুট মিলস লি., সিরাজগঞ্জের জাতীয় জুট মিল) ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া সম্ভব হয়েছে। আরও তিনটির লিজ কার্যক্রম চলমান।”

ভাড়াভিত্তিক ইজারা দেওয়া মিলগুলোতে নতুন করে অনেকের কর্মসংস্থানের সুযোগ হবে- এই আশা প্রকাশ করে মন্ত্রী বলেন, “এক্ষেত্রে অবসায়নকৃত শ্রমিকরা অগ্রাধিকার পাচ্ছেন।”

জুট মিল পরিদর্শনের সময় চট্টগ্রাম বিজেএমসির ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাসহ অন্যান্যরা উপস্থিত ছিলেন।

সরকারি সিদ্ধান্তে ২০২০ সালের ১ জুলাই বিজেএমসির নিয়ন্ত্রণাধীন রাষ্ট্রায়ত্ত ২৫টি জুট মিলের উৎপাদন কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়।

এগুলোর সব স্থায়ী শ্রমিকের গ্র্যাচ্যুইটি, পিএফ, ছুটি নগদায়নসহ পাওনা গোল্ডেন হ্যান্ডশেক সুবিধার মাধ্যমে (প্রায় ৩ হাজার ৫৬৩ কোটি টাকা) পরিশোধ করা হয়েছে।

এছাড়া যাচাই করা বদলি শ্রমিকদের বকেয়া মজুরি, মামলা নিষ্পত্তি-প্রত্যাহারজনিত স্থায়ী শ্রমিকদের পাওনা, মিল চলাকালীন সময়ের ৬৪ সপ্তাহের বকেয়া মজুরি, অবসরপ্রাপ্ত কর্মকর্তা-কর্মচারীদের গ্র্যাচ্যুইটিসহ সব দায় এবং কাঁচাপাট ব্যবসায়ীদের বকেয়া পাওনা পরিশোধের লক্ষ্যে কাজ করছে পাট ও অর্থ মন্ত্রণালয়।